সাতক্ষীরার জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর-পিপি’র (সরকারি কৌশুলী) অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে তাকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জেলার মুক্তিযোদ্ধারা।
রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে সাতক্ষীরার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয় সংলগ্ন পাওয়ার হাউসের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন মশুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব জি এম আব্দুল গফুর, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা নুরুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।
সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন মশু বলেন, সাতক্ষীরা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর-পিপি’র (সরকারি কৌশুলী) অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট জালিয়াতের অভিযোগ থাকায় জেলা বার তার কাছে বারবার সার্টিফিকেট দাখিল করতে বললেও তিনি তা কোনদিন দেখাতে পারেননি।সাতক্ষীরা সদরের সদ্য সাবেক এমপি বারবার স্বাধীনতাবিরোধী ও দুর্নীতিগ্রস্থ পিপিকে রক্ষা করে গিয়েছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব জি এম আব্দুল গফুর বলেন, পিপি লতিফ বিজিবি’র একজন কন্সটেবল ছিলেন। অনিয়মের দায়ে চাকবিচ্যুত হন। এরপর ফিরে এসেই তিনি জাল সার্টিফিকেটে আইনজীবী বনে যান।
মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা নুরুল আলম বলেন, পিপি লতিফ দুর্নীতি করে কালোপথে কোটি কোটি টাকা নিয়ে শহরের প্রাসাদ গড়েছেন। পিপি মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষদের সাথে সবসময় অসাদাচরণ করেন।
মানববন্ধনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা আরও বলেন, জাল সার্টিফিকেটধারী দুর্নীতিবাজ পিপিকে সরকার অবিলম্বে অপসারণ করুক এবং তার বিরুদ্ধে তদন্তে নামুক। তা না হলে মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের রাজনৈতিক সামাজিক ব্যক্তিবর্গ বৃহত্তর কর্মসূচি দেবে।
এদিকে পিপি আব্দুল লতিফের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটা তেমন কিছু না। মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে ভুল বোঝাবুঝি। মুক্তিযোদ্ধারা জামাত শিবিরদের পক্ষ নেয় আমি এটা কোনমতে মেনে নিতে পারি না। তাই তারা এমন কর্মসূচি পালন করেছে বলে জানান তিনি।
রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।
চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।