দেশ

দেশ

কুলাউড়ায় জিলান হত্যার প্রধান আসামি মিজু গ্রেফতার

মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া এলাকায় নৃশংসভাবে কুপিয়ে চাঞ্চল্যকর জিলান হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত পলাতক অন্যতম প্রধান আসামি মিজুকে রাজধানীর ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। র‌্যাব-১০ এর উপপরিচালক আমিনুল ইসলাম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া এলাকায় ভিকটিম হোসাইন মোহাম্মদ জিলান (২৩) তার পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছিল। ঘটনার পূর্ব থেকেই জিলানের পরিবারের সাথে আসামি মিজুর পরিবারের পূর্ব বিরোধ নিয়ে মামলা চলছিল। পূর্বের মামলার জের ধরে মিজুসহ অন্যান্য আসামিরা ভিকটিম ও তার পরিবারের সদস্যদের খুনের হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৩ জুলাই ভিকটিম জিলান তার ছোট ভাইকে কুলাউড়া বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে দেয়ার জন্য রওনা হলে আনুমানিক সন্ধ্যা ৬:৫০টায় কুলাউড়া পৌরসভা এলাকার দক্ষিণ বাজারের আয়েশা টেলিকমের সামনে পৌঁছানো মাত্র আসামি মিজুসহ আরো ১৩-১৪ জন আসামি ভিকটিমকে দা, চাপাতি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত করে। এ সময় রাস্তায় চলাচলরত লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা পালিয়ে যায়। আশেপাশের লোকজন জিলানকে উদ্ধার করে কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বছরের ৭ জুলাই রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জিলানের মৃত্যু হয়।

ছেলের মৃত্যুর পর জিলানের বাবা মোঃ আব্দুল হামিদ বাদী হয়ে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড় থানায় চাঞ্চল্যকর হোসাইন মোহাম্মদ জিলান হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত আব্দুল্লাহ আল মিজুসহ ৯ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৪৩/৪৪৮/৩০২/১১৪/৩৪ ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-০৫, তাং-০৯/০৭/২০২৩)। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

পরবর্তীতে উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আনুষ্ঠানিক অনুরোধের প্রেক্ষিতে আসামি আব্দুল্লাহ আল মিজুকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার (২০ জানুয়ারি) আনুমানিক রাত ৮:১০টায় র‌্যাব-১০ এর একটি চৌকস দল রাজধানী ঢাকার ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত পলাতক আসামি আব্দুল্লাহ আল মিজু (৩০), পিতা- গিয়াস মিয়া, সাং- দস্তরমুড়ি, থানা- কুলাউড়া, জেলা- মৌলভীবাজার’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি উক্ত হত্যাকাণ্ডে তার সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। সে মামলা রুজুর পর হতে রাজধানীর ভাটারাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল বলে জানা যায়।

গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

৫০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার

সীমান্ত সম্ভারে স্বর্ণের দোকানে চাঞ্চল্যকর চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৩

রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।

মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

পোরশায় ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস, কেনা যাবে ২৫০ গ্রাম

চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।

বিষয়:
সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত