ঝিনাইদহ জেলার সদর এলাকায় নৃশংস ভাবে হাতের কব্জি ও পা বিচ্ছিন্ন করে চাঞ্চল্যকর বরুন ঘোষ হত্যা মামলার মূল পরিকল্পনাকারী পলাতক প্রধান আসামি তন্ময়কে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০। র্যাব-১০ এর মিডিয়া সেল থেকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন হামদহ ঘোষপাড়া এলাকায় বসবাসকারী বরুন কুমার ঘোষের সাথে আসামি তন্ময় হোসেন (২৩), পিতা- মোঃ বুলু জোয়ার্দার, সাং-টিবলেপাড়া, থানা- ঝিনাইদহ সদর, জেলা- ঝিনাইদহসহ আরো কয়েকজন আসামির সাথে জমি-জমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। উক্ত বিরোধের জের ধরে আসামিরা ভিকটিম ও তার পরিবারের লোকজনকে খুন-জখমের হুমকি দিয়ে আসছিল। গত ৯ জানুয়ারি আনুমানিক সন্ধ্যা ৭:০০টায় ভিকটিম বরুন কুমার ঘোষ ইজিবাইক সহযোগে ভিসার কাজে বাড়ির বাইরে গেলে ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন হামদহ শেখপাড়া এলাকায় পৌঁছানোমাত্র আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা তন্ময় ৯-১০ জন সহযোগীকে নিয়ে তাকে ইজিবাইক থেকে নামিয়ে রাম-দা, চাপাতি, ডাসা, লোহার রড দিয়ে এলোাপাথারিভাবে কোপাতে ও আঘাত করতে থাকে। আসামিরা ভিকটিমের মাথা লক্ষ্য করে কোপ মারে এবং প্রচণ্ড আঘাতের ফলে ভিকটিমের আঙ্গুল, ডান হাতের কব্জি ও বাম পা হাঁটু থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা বরুন ঘোষকে ঘটনাস্থলে রেখে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ভিকটিম বরুনকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরদিন মৃত বরুনের স্ত্রী টুম্পা রানী ঘোষ বাদী হয়ে ঝিনাইদহ জেলার ঝিনাইদহ সদর থানায় দণ্ডবিধির ৩০২/৩০৪ ধারায় এজাহারভুক্ত ৯ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৯/১০ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-১৯, তাং-১০/০১/২০২৪)। উক্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চাঞ্চল্যকর বরুন হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের গ্রেফতারে সহায়তার জন্যে র্যাব-১০ এর নিকট আনুষ্ঠানিক আবেদনের প্রেক্ষিতে রবিবার (২১ জানুয়ারি) আনুমানিক রাত ৮:৪০টার দিকে র্যাব-১০ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার উত্তর যাত্রাবাড়ী এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে পলাতক আসামি তন্ময় হোসেন (২৩), পিতা- মোঃ বুলু জোয়ার্দার, সাং-টিবলেপাড়া,থানা- ঝিনাইদহ সদর, জেলা-ঝিনাইদহকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি উক্ত হত্যাকাণ্ডে তার সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। সে মামলা রুজুর পর হতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।
চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।