দেশ

দেশ

ভবিষ্যত প্রজন্মকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভবিষ্যত প্রজন্মকে স্মার্ট, দক্ষ এবং ভবিষ্যতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে । এজন্য তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান বৃদ্ধি এবং দক্ষ নাগরিক তৈরিতে কোনো প্রকার ছাড় না দিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার দিনাজপুরের বিরল উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। দিনাজপুরের ২ আসনের সাংসদ খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় দায়িত্ব পাওয়ায় তাকে এই সংবর্ধনা দেয়া হয়।

এ সময় পরপর চারবার সাংসদ নির্বাচতি করায় দিনাজপুর ২ নির্বাচনী এলাকার ভোটারসহ সর্বস্তরের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা পুনর্ব্যক্ত করেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আপনাদের ভালোবাসা আমার চলার পথে পাথেয়। আপনারা পরপর চারবার নির্বাচিত করায় কতৃজ্ঞতার কোনো শেষ নেই। আপনাদের এই ভালোবাসার কাছে আনি চিরঋনী। আমার মহান নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছে ঋনী, যিনি ২০০৮ সালে প্রথম নৌকা মার্কায় দিয়ে আাপনাদের কাছে পাঠিয়েছিলেন।’

দিনাজপুর ২ আপামর জনগণের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা যে সম্মান জানিয়েছেন, সেই সম্মানের কাছে আমি সবসময় ঋণী। এই সম্মান-শ্রদ্ধা এই ভালোবাসাই আমাদের শেষ কথা নয়। আমাদের আরো অনেক পথ চলতে হবে। জাতির পিতা স্বপ্ন দেখেছিলেন সোনার বাংলা। আজকে তারই কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সোনার বাংলা হচ্ছে। বাংলার মানুষের কাছে আজকে স্বাধীনতার সুখ অনুভুত হচ্ছে। আমরা এখানেই থেমে থাকতে চাই না। আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম আমরা আরো উপরে তুলে নিতে চাই। প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা দিয়েছেন স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য গত ১৫ বছরে ধাপে ধাপে যে পদক্ষেপগুলো নেয়া দরকার সেগুলো নিয়েছেন এবং বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশে দৃশ্যমান করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছে উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান। আমি নির্বাচনী প্রচারনার সময়ে আমি আমার ছাত্র, যুবক, তরুণদের আহ্বান জানিয়েছি, আগামী সময়গুলো হচ্ছে তোমাদের সময়।’

এ সময় মন্ত্রীকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুভেচ্ছা জানাতে যারা আসেন, তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমাকে শুভেচ্ছা জানানো তখনই স্বার্থক হবে, যখন এসব প্রতিষ্ঠান থেকে থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার নাগরিক তৈরি বের হবে।’

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে যার যার জায়গা থেকে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করা আহ্বান জানিয়ে খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘এই বাংলাদেশ কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নয়, ১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশে তেমন প্রত্যেকটি মানুষের অধিকার আছে, প্রত্যেকটি মানুষের করণীয় আছে। আমরা যে যে জায়গায় কাজ করছি, আমরা যেন সেই জায়গাগুলোতে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে, নিষ্ঠার সঙ্গে যেন কাজ করি।’

তিনি বলেন, আগামীতে কর্মসংস্থানের যে ইশতেহার ঘোষণা করা হয়েছে, সেই কর্মসংস্থান তৈরি হবে আমাদের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে। আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান বৃদ্ধি করতে হবে এবং দক্ষ নাগরিক তৈরি করতে হবে। এই জায়গায় আমাদের কোনো প্রকার ছাড় দেয় যাবে না।

খালিদ মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ৩০ লক্ষ শহীদ রক্ত দিয়েছে। তারা আমাদের রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা দিয়েছ। জাতির পিতা দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা সেই বিপ্লবের হাল ধরে আমাদের মুক্তি দিয়েছেন। সেই মুক্তি সেই জায়গায় নিয়ে যেতে হবে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার মধ্য দিয়ে। বাংলার মানুষের কল্যানের জন্য অঙ্গীকার অনুযায়ী যাতে কাজ করতে পারেন সেজন্য দোয়া ও আশির্বাদ চান প্রতিমন্ত্রী।

এর আগে প্রতিমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে শতাধিক ফুলের তোড়া নিয়ে আসেন বিভিন্ন সংগঠন।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুল দেন নির্বাহী কর্মকর্তা। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সবুজার সিদ্দিকি সাগর, সাধারণ সম্পাদক রমা কান্ত রায়, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দেবাশীষ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিন্নাহ আল মামুন, থানার ওসি গোলাম মাওলা, বিরল উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ কমান্ডার আবুল কাশেম অরু, ডেপুটি কমান্ডার রহমান আলীসহ সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা ফুল দিয়ে বরণ করে নেন প্রতিমন্ত্রীকে।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

৫০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার

সীমান্ত সম্ভারে স্বর্ণের দোকানে চাঞ্চল্যকর চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৩

রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।

মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

পোরশায় ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস, কেনা যাবে ২৫০ গ্রাম

চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।

বিষয়:
সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত