দেশ

দেশ

রাজশাহীতে হামলার প্রতিবাদ ও জমি দখলমুক্ত করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

রাজশাহীতে নিজের জমিতে কাজ করতে গিয়ে রাসিক ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুস সুবাহান লিটন ও নূর আলম লুথু কর্তৃক সন্ত্রাসী বাহিনীর বাধা ও হামলার প্রতিবাদে এবং জমিটি দখলমুক্ত করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী শাহ্ শাবাব বাপ্পা।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে মহানগরীর শিরোইলে অবস্থিত রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ভুক্তভোগী।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভূক্তভোগী শাহ্ শাবাব বাপ্পা বলেন, আমার নিজের জমিতে গত মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় দেয়াল দিতে গেলে পাশের বাড়ির নূর আলম লুথু লোকজন ও সন্ত্রাসী বাহীনি নিয়ে বাধা প্রদান করেন। পরবতীতে ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুস সুবহান লিটনের যোগসাজশে ঘটনাটি আরও জোরালো হয়। কাউন্সিলর ১ লক্ষ টাকা দিলে সমস্যার সমাধান করে দিবেন বলে জানিয়েছেন। এরপর আমি আরএমপি’র বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। থানা কর্তৃপক্ষ উভয় পক্ষকে একসাথে করে জমি মেপে সঠিকভাবে মীমাংসা করে নিতে বলেন। থানায় অভিযোগ দেয়ার পর থেকে বিভিন্ন লোক মারফত আমাকে প্রাণনাশ করাসহ বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। এঘটনার পর থেকে আমি আমার জমির ওপর যেতে পারছি না এবং ভীষণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এমতাবস্থায় সাংবাদিকদের মাধ্যমে মাননীয় মেয়র ও পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন, আমার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা প্রদানসহ আমার নিজ জমি দখলমুক্ত করে সঠিক বিচারের ব্যবস্থা করা হোক।

তিনি সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, এর আগেও তারা আদালতে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছিলো। তা মহামান্য আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। আমার পৈতৃক সম্পত্তি দখল করে দেওয়ার জন্য ১৫ নং কাউন্সিলর আব্দুস সোবহান লিটনকে হাত করে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুস সুবাহান লিটন বলেন, নূর আলম লুথুর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমি উভয় পক্ষকে জায়গা মাপার জন্য ডেকেছিলাম। টাকা চাওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়৷ জায়গা দখল করে দেয়া কাউন্সিলরের কাজ নয়।

কথা বলতে নূর আলম লুথুকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

৫০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার

সীমান্ত সম্ভারে স্বর্ণের দোকানে চাঞ্চল্যকর চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৩

রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।

মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

পোরশায় ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস, কেনা যাবে ২৫০ গ্রাম

চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।

বিষয়:
সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত