শিক্ষা

শিক্ষা

ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির একাডেমিক কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একাডেমিক কাউন্সিলের ৩৪ তম সভা শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্যের বিশেষ আমন্ত্রণে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান, ট্রাস্টি বোর্ডের মনোনীত সদস্য হিসেবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মোঃ সামসুল আরেফিন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব-উল হক মজুমদার, রেজিস্ট্রার ড. নাদির বিন আলী, কোষাধ্যক্ষ হামিদুল হক খান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. ইসমাইল জবিউল্লাহ অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সংক্রান্ত সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন এবং বিভিন্ন অনুষদের ডিনগণ তাদের নিজ নিজ অনুষদের পাঠ্যক্রম উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন বিষয়াদি অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রস্তাব পেশ করেন। একাডেমিক কাউন্সিল বিস্তারিত আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে সেগুলো গ্রহণ করে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ২০২২ সালের বিভিন্ন প্রোগ্রামের ডিগ্রি অনুমোদনের প্রস্তাব করলে সেটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। রেজিস্ট্রার ড. নাদিও বিন আলী সভায় আনুষঙ্গিক তথ্যসমূহ সরবরাহ করেন।

সভায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একাডেমিক অ্যাফেয়ার্সের ডিন প্রফেসর ড. মোস্তফা কামাল, বাণিজ্য ও উদ্যোক্তাবৃত্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাসুম ইকবাল, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. লিজা শারমিন, বিভাগীয় প্রধানগণ, ইন্সটিটিউট প্রধানগণ, বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের প্রতিনিধি, সিন্ডিকেট মনোনীত প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় অন্যান্য আলোচনার পাশাপাশি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান বলেন, আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান সাফল্য অর্জিত হয়েছে। আজকে অন্যান্য অনেক প্রতিষ্ঠানের কাছে এই বিশ্ববিদ্যালয় এখন ঈর্ষণীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই ধারা অব্যহত রাখতে আমাদের আরো প্রাণান্তকর প্রচেষ্টায় কাজ করতে হবে।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ক্রমাগত সাফল্যের ধারাবাহিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামীতে এ ধারা অব্যাহত রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের ৯ নির্দেশনা

শিক্ষার্থীদের সংঘাত ও অপ্রাসঙ্গিক কার্যক্রম থেকে দূরে রাখতে এবং তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা শিক্ষাসংক্রান্ত নয় এমন বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশ নিচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি অভিভাবকদের মধ্যেও উদ্বেগ বাড়ছে।

এ পরিস্থিতি এড়াতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষামুখী রাখার জন্য বিভিন্ন কো-কারিকুলার কার্যক্রম বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে ৯টি কার্যক্রমের একটি নমুনা তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত ৯টি কার্যক্রম :
১. আঙিনা পরিচ্ছন্নতা অভিযান : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্যোগ।
২. বিজয়ের ৩৬ জুলাই ভিত্তিক গ্রাফিতি : নির্বাচিত গ্রাফিতি নিয়ে সফট অ্যালবাম তৈরি এবং শ্রেষ্ঠ গ্রাফিতি পুরস্কার প্রদান।
৩. থিম সং পরিবেশনা : ‘ক্রান্তিকালে তারুণ্য দুর্জয়’ থিমে গান তৈরি, পরিবেশনা, সফট অ্যালবাম তৈরি ও প্রতিযোগিতার আয়োজন।
৪. পারসোনাল হাইজিন প্রশিক্ষণ : গার্লস স্কুল ও কলেজে মেয়েদের জন্য ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ।
৫. জাতীয় দিবসে আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ : বিএনসিসি, স্কাউট ও রোভার স্কাউটের সহায়তায় কুচকাওয়াজের আয়োজন।
৬. প্রকৃতি দর্শন : শিক্ষার্থীদের জন্য নিকটবর্তী নান্দনিক স্থান যেমন নদীতীর, চর, উপকূল বা পাহাড় ভ্রমণের আয়োজন।
৭. ক্রীড়া প্রতিযোগিতা : ক্রিকেট, ফুটবল ও ভলিবল টুর্নামেন্টের আয়োজন।
৮. জেন-জি উদ্যোক্তা বিতর্ক প্রতিযোগিতা : তরুণ উদ্যোক্তা কর্মী তৈরির লক্ষ্যে বিতর্ক প্রতিযোগিতা।
৯. জুলাই বিপ্লব বিষয়ক আলোচনা সভা : ‘জুলাই বিপ্লব কী, কেন, কিভাবে’ বিষয়ে ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকদের আলোচনার আয়োজন।

অভিভাবকদের সম্পৃক্ত করার আহ্বান
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অভিভাবকদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে শ্রেণিকক্ষ কার্যক্রম ও কো-কারিকুলার কার্যক্রমকে জোরদার করতে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় মনে করে, এসব কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতাকে উজ্জীবিত করবে এবং শিক্ষার পরিবেশ উন্নত করবে।

পরবর্তী খবর

ঈদের ছুটি শেষে খুলছে মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়

ঈদুল আযহার ছুটি শেষে রবিবার খুলছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরমেবি)।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, রবিবার থেকে যথারীতি একাডেমিক এবং দাপ্তরিক সব কাজ চলমান থাকবে।

এরই মাঝে দীর্ঘ যানজট উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে ফিরতে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, গত ১২ জুন থেকে ২২ জুন মোট ১০ দিন ঈদুল আযহার ছুটি পায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত