নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) তে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘রয়্যাল ইকোনমিক্স ক্লাব (আরইসি)-এর নতুন কমিটির ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ ই মে) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়াম ভবনের আইকিউএসি সেমিনার কক্ষে সংগঠনটির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মুহাইমিনুল ইসলাম সেলিম।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সংগঠনের উপদেষ্টা সাদ্দাম হোসেন রাজু এবং বিভাগের প্রভাষক আতিক হাসান। এসময়ে আরইসি’র সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নোবিপ্রবির অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মুহাইমিনুল ইসলাম সেলিম প্রধান অতিথি হিসেবে এসময়ে নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির ঘোষণা করেন। নতুন কার্যনির্বাহী কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে নোবিপ্রবির অর্থনীতি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী যথাক্রমে রিয়াজুল কবির তালুকদার ও তাসমিয়া বিনতে সাদেক।
এছাড়াও সহ সভাপতি হিসেবে ফারজানা জেসমিন কলি,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে স্মৃজিতা চাকমা, কোষাধ্যক্ষ পদে আজমির হোসেন, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি শামস উদ্দিন চৌধুরী, ডেপুটি মাহফুজুল কবির, আফসানা জামান সুইটি, এক্সিকিউটিভ হিসেবে হাফিজুর রহমান, আবেদুন নাহার ভূইয়া, আব্দুল্লাহ আল মামুন, চন্দন দেবনাথ নির্বাচিত হন।
তাছাড়া পাবলিক রিলেশন সেক্রেটারি হিসেবে আসিফ ইমতিয়াজ, ডেপুটি সায়েমা সুলতানা এবং এক্সিকিউটিভ পদে রিয়াদ সরকার, জান্নাত অহনা, স্বপ্নীল পাল তূর্য্য। পাশাপাশি রিসার্স উইং সেক্রেটারি হিসেবে মারজাহান বেগম ঝুমুর, ডেপুটি কামরুন নাহার, মো. ফাহিম, মোস্তাইন হৃদয়; এক্সিকিউটিভ পদে মোহাম্মদ তারেক হাসান, রুকাইয়া তাসনিম ও ফারিহা বিনতে ইসলাম নির্বাচিত হন।
এছাড়াও ডিজাইন ও পাবলিকেশন সেক্রেটারি হিসেবে নুশেরা নাজরিন জুঁই ওডেপুটি আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম এবং এক্সিকিউটিভ পদে মো. শিহাব হোসেন, মো. তানভির ইশতিয়াক ও মৃত্তিকা দাস নির্বাচিত হন। পাশাপাশি ডিবেট উইং সেক্রেটারি পদে জান্নাতুল ফেরদৌস ইরা, ডেপুটি আইনুল হাসনাত রাজু এবং এক্সিকিউটিভ পদে আবরার হোসেন আবেদ, সুব্রত দে ও নাইমা ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন।
তাছাড়া কালচারাল উইং সেক্রেটারি হিসেবে নুর আসমা মিম, ডেপুটি সেক্রেটারি জান্নাতুল নাঈম লিজা এবং এক্সিকিউটিভ পদে ফাইজা হাসান তিনা ও সামিয়া আফরিন স্বর্না নির্বাচিত হয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের সংঘাত ও অপ্রাসঙ্গিক কার্যক্রম থেকে দূরে রাখতে এবং তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা শিক্ষাসংক্রান্ত নয় এমন বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশ নিচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি অভিভাবকদের মধ্যেও উদ্বেগ বাড়ছে।
এ পরিস্থিতি এড়াতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষামুখী রাখার জন্য বিভিন্ন কো-কারিকুলার কার্যক্রম বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে ৯টি কার্যক্রমের একটি নমুনা তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত ৯টি কার্যক্রম :
১. আঙিনা পরিচ্ছন্নতা অভিযান : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্যোগ।
২. বিজয়ের ৩৬ জুলাই ভিত্তিক গ্রাফিতি : নির্বাচিত গ্রাফিতি নিয়ে সফট অ্যালবাম তৈরি এবং শ্রেষ্ঠ গ্রাফিতি পুরস্কার প্রদান।
৩. থিম সং পরিবেশনা : ‘ক্রান্তিকালে তারুণ্য দুর্জয়’ থিমে গান তৈরি, পরিবেশনা, সফট অ্যালবাম তৈরি ও প্রতিযোগিতার আয়োজন।
৪. পারসোনাল হাইজিন প্রশিক্ষণ : গার্লস স্কুল ও কলেজে মেয়েদের জন্য ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ।
৫. জাতীয় দিবসে আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ : বিএনসিসি, স্কাউট ও রোভার স্কাউটের সহায়তায় কুচকাওয়াজের আয়োজন।
৬. প্রকৃতি দর্শন : শিক্ষার্থীদের জন্য নিকটবর্তী নান্দনিক স্থান যেমন নদীতীর, চর, উপকূল বা পাহাড় ভ্রমণের আয়োজন।
৭. ক্রীড়া প্রতিযোগিতা : ক্রিকেট, ফুটবল ও ভলিবল টুর্নামেন্টের আয়োজন।
৮. জেন-জি উদ্যোক্তা বিতর্ক প্রতিযোগিতা : তরুণ উদ্যোক্তা কর্মী তৈরির লক্ষ্যে বিতর্ক প্রতিযোগিতা।
৯. জুলাই বিপ্লব বিষয়ক আলোচনা সভা : ‘জুলাই বিপ্লব কী, কেন, কিভাবে’ বিষয়ে ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকদের আলোচনার আয়োজন।
অভিভাবকদের সম্পৃক্ত করার আহ্বান
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অভিভাবকদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে শ্রেণিকক্ষ কার্যক্রম ও কো-কারিকুলার কার্যক্রমকে জোরদার করতে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় মনে করে, এসব কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতাকে উজ্জীবিত করবে এবং শিক্ষার পরিবেশ উন্নত করবে।
ঈদুল আযহার ছুটি শেষে রবিবার খুলছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরমেবি)।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, রবিবার থেকে যথারীতি একাডেমিক এবং দাপ্তরিক সব কাজ চলমান থাকবে।
এরই মাঝে দীর্ঘ যানজট উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে ফিরতে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, গত ১২ জুন থেকে ২২ জুন মোট ১০ দিন ঈদুল আযহার ছুটি পায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।