গত দুইদিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে র্যাবের অব্যাহত অভিযানে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘ ১৭ বছর যাবৎ পলাতক আসামি টিকটক সেলিব্রিটি জাহানারা ওরফে ইতি আক্তারসহ তিনজন ছিনতাইকারী এবং অপর আরও একজন হত্যা মামলার পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে র্যাব-১০ এর উপপরিচালক আমিনুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।
অভিযান-১
গত ৩০ জানুয়ারি বিকাল ৫:১০টায় র্যাব-১০ এর একটি দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবং র্যাব-১৫ এর সহযোগিতায় কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন তারাবনিয়াছড়া এলাকায় একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে রাজধানী ঢাকার মিরপুর মডেল থানার মামলা নং-৫৪(৮)২০০৬, ধারাঃ ৩০২/৩৪, পেনাল কোড, হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সাজা ওয়ারেন্টভুক্ত দীর্ঘ ১৭ বছর যাবৎ পলাতক আসামি টিকটক সেলিব্রিটি জাহানারা ওরফে ইতি আক্তার (৪০), স্বামী-মোঃ দেলোয়ার হোসেন, সাং-ইলিশা বাসস্ট্যান্ড, থানা-সদর, জেলা-ভোলা’কে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেফতারকৃত আসামি উক্ত হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বলে স্বীকার করেছে। সে হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর আদালত থেকে জামিন নিয়ে রাজধানী ঢাকা, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ ও পরিচয় গোপন করে দীর্ঘ ১৭ বছর যাবৎ আত্মগোপন করে ছিল বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
অভিযান-২
গত ৩০ জানুয়ারি রাতে র্যাব-১০ এর অপর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় দুইটি পৃথক অভিযান পরিচালনা করে তিনজন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের নাম ১। মোঃ আকাশ (২২), পিতা-মৃত নুর জামাল, সাং-খেলাবাড়ী, থানা-গাইবান্ধা সদর, জেলা-গাইবান্ধা, ২। মোঃ শিফাত (২১), পিতা-মোঃ কবির, সাং-মোহনপুর, থানা-চাঁদপুর সদর, জেলা-চাঁদপুর ও ৩। মোঃ জনি (২০), পিতা-মোঃ আবুল কালাম আজাদ, সাং-খেলাবাড়ী, থানা-গাইবান্ধা সদর, জেলা-গাইবান্ধা। এসময় তাদের নিকট থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত তিনটি চাকু ও দুইটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা বেশ কিছুদিন যাবৎ যাত্রাবাড়ীসহ রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পথচারীদের ধারালো চাকুর ভয় দেখিয়ে টাকা-পয়সা ও মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন মূল্যবান সম্পদ ছিনতাই করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ছিনতাই মামলা দায়ের করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
অভিযান-৩
গতকাল, ৩১ জানুয়ারি দুপুর ২:১০টায় র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার কদমতলী থানাধীন জুরাইন এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে জিআর সাজা-কদমতলী থানার মামলা নং-৪৮(০১)১৬, প্রসেস নং-১০৭/২১, তাং-২৪/০৬/২১ খ্রিঃ ও জিআর সাধারন-কদমতলী থানার মমালা নং-২৯(১০)২১, প্রসেস নং-৮৫০/২২, তাং-০১/০৭/২২ খ্রিঃ; মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সাজা ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি মোঃ ইউসুফ শেখ, পিতা- ইব্রাহিম শেখ নুর আলী, সাং-নিমতলী, থানা-সিরাজদিখান, জেলা-মুন্সিগঞ্জ’কে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেফতারকৃত আসামি উল্লেখিত মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বলে স্বীকার করেছে। সে মামলার পর আদালত থেকে জামিন নিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।
চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।