রাজশাহীর বাঘায় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি’র উদ্যোগে তিনদিন ব্যাপী মৌলিক ও প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ কর্মশালাটি তেঁথুলিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শুরু হয় রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) শেষ হয় (৬ ফেব্রুয়ারি) মঙ্গলবার। প্রশিক্ষণ শেষে বিদ্যালয়টির সকল শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ এবং প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরুস্কার তুলে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির রাজশাহী জেলা ইউনিট কর্তৃক আয়োজিত তিনদিন ব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন, সাবেক বাঘা উপজেলা টিম লিডার ও রাজশাহী জেলা ইউনিটের বিভাগীয় উপ-প্রধান (প্রশিক্ষণ) আসিফ রহমান গুনজন।
প্রশিক্ষণের শেষ দিনে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডা. খন্দকার মোহাইমিনুর রহমান (মেয়র) বি.ডি.এস কনসালটেন্ট খন্দকার ডেন্টাল কেয়ার, থানা মোড়, বাঘা, রাজশাহী। তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের ডেন্টাল হেল্থ বিষয়ে সচেতন করেন। এছাড়াও দাঁতের যত্ন, দাঁতের গুরুত্ব, ব্রাশ করার পদ্ধতি, ডেন্টাল ক্যারিজ, ডেন্টাল প্ল্যাক, পাল্পাইটিসসহ বিবিধ সাধারণ রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সচেতনতামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। সবশেষে তিনি পুরস্কার এবং সনদ বিতরণী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন (যুব প্রধান) জাকারিয়া ইকবাল, সাগর আলী, লিমা খতুন, রুমি আক্তার।
সনদ ও পুরুষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাঘা ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষিকা দোলেনা বেগম, খন্দকার ডেন্টাল কেয়ার এর কনসালটেন্ট। ডা. খন্দকার মোহাইমিনুর রহমান (মেয়র) প্রমুখ।
এছাড়ও বাঘা উপজেলা টিমের যুব সদস্য রুমি খাতুন, মাহফুজ আহমেদ, আবুল বাশার ইমন, আজমুল আহমেদ, আবির আহমেদ, জান্নাতুল ফেরদৌস হাসিসহ অন্যান্য যুব সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।
চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।