ঢাকার কেরাণীগঞ্জ মডেল ও শ্যামপুর এলাকায় অনুমোদনহীন নকল বৈদ্যুতিক তার, ভেজাল শিশুখাদ্য, অনুমোদনহীন প্লাস্টিক ও মেলামাইন সামগ্রী উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৬ লক্ষ টাকা জরিমানা করে তা আদায় করা হয় বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১:০০টা থেকে সন্ধ্যা ৬:২৫টা পর্যন্ত র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মাজহারুল ইসলাম ও র্যাব -১০ এর সমন্বয়ে একটি দল ঢাকার কেরাণীগঞ্জ মডেল ও শ্যামপুর থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রম সম্পন্ন করে।
এসময় বিএসটিআই-এর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত অনুমোদনহীন নকল বৈদ্যুতিক তার, ভেজাল শিশুখাদ্য, অনুমোদনহীন ফ্যাক্টরিতে প্লাস্টিক ও মেলামাইন সামগ্রী উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করার অপরাধে ৫টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ১৬,০০,০০০/- (ষোল লক্ষ) টাকা জরিমানা প্রদান করেন। যার মধ্যে ১। মইন কনজুমার প্রডাক্টস’কে নগদ- ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা, ২। জেনেরিক এগ্রো’কে নগদ- ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা ৩। মেসার্স শহীদ মেলামাইন’কে নগদ- ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা ৪। সেতু প্লাস্টিক’কে নগদ- ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা ৫। মেসার্স রয়েল ড্রয়িং এন্ড কপার ওয়ার’কে নগদ- ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা করে জরিমানা প্রদান করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট-এর নির্দেশে উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতে আনুমানিক ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা মূল্যের জব্দকৃত মালামাল ধ্বংস করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, বেশ কিছুদিন যাবৎ এই অসাধু ব্যবসায়ীরা অনুমোদনহীন নকল বৈদ্যুতিক তার, ভেজাল শিশুখাদ্য, অনুমোদনহীন প্লাস্টিক ও মেলামাইন সামগ্রী উৎপাদন, মজুদ ও বাজারজাত করে আসছিল।
রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।
চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।