গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। শুক্রবার বাদ ফজর মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ আম বয়ান করেন। তাৎক্ষণিকভাবে তা বাংলা তরজমা করে মাওলানা মনির বিন ইউসুফ।
সকাল ১০টায় ভারতের মাওলানা ইলিয়াস তালিমের মৌজু, জুমার আগে জুমার ফাজায়েলের ওপর ১০ মিনিট বয়ান করবেন মাওলানা মনির বিন ইউসুফ। জুমার পরে বয়ান করবেন শেখ মোফলে (আরবি), তাৎক্ষণিকভাবে তা বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা শেখ আব্দুল্লাহ্ মনসুর, আসরের পর বয়ান করবেন মাওলানা মোশাররফ, মাগরিবের পর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ, তাৎক্ষণিকভাবে তা বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা জিয়া বিন কাশেম।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম।
এর আগে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্ব শেষ হয়।
এদিকে টঙ্গীর তুরাগ তীরের ময়দানে অবস্থান নেওয়া মুসল্লিদের উদ্দেশে গতকাল বৃহস্পতিবার বাদ ফজর থেকে বয়ান শুরু করেন মুরুব্বিরা।
বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম জানান, টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার এবারের দ্বিতীয় পর্বে ১২ থেকে ১৪ হাজার বিদেশি মেহমান যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় তিন হাজারের বেশি বিদেশি মেহমান এবং দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লাখো মানুষ টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে এসে পৌঁছেছেন।
মাশোয়ারার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ময়দানে আসা মানুষদের উদ্দেশে বাদ ফজর থেকেই প্রাথমিক বয়ান শুরু করেন তাবলীগের মুরুব্বিরা। বৃহস্পতিবার বাদ ফজর বয়ান করেন ভারতের মাওলানা শরিফ সাহেব। তা বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল্লাহ মনসুর (কাকরাইল মসজিদ)।
গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম জানান, প্রথম পর্বের মতো একই নিরাপত্তা ব্যবস্থা এ পর্বেও বলবৎ রয়েছে।
এবারের ইজতেমায় ভারতের দিল্লি মারকাজের মাওলানা সা’দ কান্ধলভী না এলেও এসেছেন তার তিন ছেলে। গত বুধবার মাওলানা সা’দ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ, মেজো ছেলে মাওলানা সাঈদ ও ছোট ছেলে মাওলানা ইলিয়াসসহ ভারতের নিজামউদ্দিন মারকাজের ১৪জনের একটি দল গত বুধবার সন্ধ্যায় টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে পৌঁছান।
সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
এ অবস্থায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। শেষ রাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।