দেশব্যাপী র্যাবের নিয়মিত অভিযানে ১ জন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি, ২ জন মাদক ব্যবসায়ীসহ ৩ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে র্যাবের মিডিয়া সেল থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
অভিযান-১ :
গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৮:৩০টায় র্যাব-১০ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা গোল চত্বর এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ ঘাট থানার মামলা নং-০৯, তারিখ-১৫/১০/২০০৯ খ্রিঃ ধারা-১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এর ১৯(১) টেবিলের ৩(খ), জিআর নং-১৮৯/০৯ যার প্রসেস নং-২৯৭/২৩; মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন পলাতক আসামি মোঃ শওকত আলী (২৮), পিতা-মোহাম্মদ আলী, সাং-কাগমারী, থানা-বেনাপোল, জেলা-যশোর’কে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি উক্ত মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বলে স্বীকার করেছে। সে মামলার পর বিভিন্ন সময় আদালত থেকে জামিন নিয়ে পরবর্তীতে ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
অভিযান-২ :
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৫:১০টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন গোলাপবাগ এলাকায় র্যাব-১০ এর একটি দলের অভিযানে রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান থানার জিআর নং-১৭(১১)১৮, ধারা-১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) এর ৩(খ); মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত ও ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরো ০৬ (ছয়) মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত ওয়ারেন্টভুক্ত দীর্ঘদিন পলাতক আসামি মোঃ সেলিম (৩৩), পিতা-মোঃ নুরু মিয়া, সাং-ভিংলাবাড়ী, থানা-দেবীদ্বার, জেলা-কুমিল্লা’কে গ্রেফতার করে।
একই তারিখে রাত ৮:৩০ টায় র্যাব-১০ এর অপর একটি দল ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন চুনকুটিয়া এলাকায় অপর একটি অভিযান চালিয়ে পাবনা জেলার সদর থানার জিআর নং-১৭০/০১, ধারা-৩৯৯/৪০২ দণ্ডবিধি-১৮৬০; ডাকাতি মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন পলাতক আসামি মোঃ টিটু খন্দকার (৩৯), পিতা-মৃত সৈয়দ আলী খন্দকার, সাং-কাদিরাবাদ, থানা-মেহেন্দীগঞ্জ, জেলা-বরিশাল’কে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা উল্লিখিত মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বলে স্বীকার করেছে। তারা উভয়ই মামলার পর বিভিন্ন সময় আদালত থেকে জামিন নিয়ে ঢাকার যাত্রাবাড়ী ও দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
অভিযান-৩ :
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৫:৩৫ টায় র্যাব-১০ এর অপর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন ধলপুর এলাকায় চিহ্নিত চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ি আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন হতে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করাকালীন ৩ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের নাম ১। মোঃ মিজানুর রহমান (৩৬), পিতা-মোঃ মোবারক হোসেন, ২। সৈয়দ মুজিবুর রহমান বাদল (৫০), পিতা-মৃত কাশিমুর রহমান ও ৩। মোঃ সিহাব আহম্মেদ (১৯), পিতা-মোঃ নাহিদ আহম্মেদ সর্বসাং-গোলাপবাগ, থানা-যাত্রাবাড়ী, ঢাকা। এসময় তাদের নিকট থেকে আদায়কৃত চাঁদা নগদ- ১,৯৯০/- (এক হাজার নয়শত নব্বই) টাকা এবং ২টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা বেশ কিছুদিন যাবৎ রাজধানীর যাত্রাবাড়ীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের সাথে অশোভন আচনের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।
চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।