দেশ

দেশ

সাতক্ষীরায় চাইনিজ নিউ ইয়ার উদযাপন উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‌্যালি

সাতক্ষীরায় চাইনিজ নিউ ইয়ার ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে সাতক্ষীরা শহরের শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক থেতে র‌্যালিটি শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।

চাইনিজ নিউ ইয়ার ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে বিডব্লিজিইডি, ক্লিন এবং স্বদেশ’র যৌথ আয়োজনে বর্ণাঢ্য র‌্যালিতে ঘোড়ার গাড়ি, বেলুন, ফেস্টুন, ব্যানার, ও প্লাকার্ড হাতে র‌্যালিতে বিভিন্ন শ্রেণিরপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে।

র‍্যালি শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন সংগঠন স্বদেশ’র নির্বাহী পরিচালক মধাব চন্দ্র দত্ত, যুব অধিকারকর্মী জয় সরদার, যুব সংগঠক ও সাংবাদিক এস এম হাবিবুল হাসান, সাংবাদিক ও উন্নয়নকর্মী ফারুক রহমান, কিশোরী স্বাস্থ্য অধিকারকর্মী উমা হোড়, স্কুল ছাত্রী জেসমিন নাহার, সুমাইয়া খাতুন, মোঃ মোকাররম বিল্লাহ ইমন, মোঃ পারভেজ, যুব সংগঠক জাহাঙ্গীর আলম, মো. আব্দুর রহমান নিরব, তরুণ রাজনীতিবিদ আবু তাহের, রোজিনা খাতুন, নাছিমা খাতুন, শেফালী রানী, সাথী বেগম, পরিবেশ কর্মী দেবজ্যোতি ঘোষ নয়ন প্রমুখ।

চাইনিজ নিউ ইয়ার ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে র‌্যালি ও সমাবেশে অংশগ্রহণকারী বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির গতিশীলতার জন্য চায়নার বিনিয়োগ দীর্ঘদিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। বিশেষ করে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে। আমদানি নির্ভর এলএনজি’র ওপর নির্ভর করে আমাদের দেশে গড়ে তোালা হয়েছে অনেকগুলে বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বর্তমানে বাংলাদেশে ২৯টি এলএনজি ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে।

বক্তরারা আরও বলেন, বাংলাদেশে ৫টি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে চায়না বিনিয়োগ দীর্ঘদিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। চায়জিন সরকারের বোঝা উচিত তারা বাংলাদেশের অর্থনীতি স্বচল রাখার জন্য প্রচুর বিনিয়োগ করছে। এরজন্য আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ এরং ঋণী। আমরা চায়নাকে ভালোবাসি বিধায় তাদের ‘চন্দ্রবর্ষ ২০২৪’ আড়ম্বরভাবে উদযাপন করছি, আমাদের জন্য চায়নিজ সরকারের সহযোগিতার হাত আরও বর্ধিত থাকুক এই আশাই আমরা করি। কিন্তু তাদের বিনিয়োগ কখনও কখনও আমাদের দেশের ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকর হচ্ছে। চায়নার অনেক বিনিয়োগই হচ্ছে ফসিল ফুয়েল তথা এলএনজি ও কয়লা খাতে। যা আমরা চাই না।

তাই চায়নার কাছে আমাদের দাবিসমূহ :
১. আমাদের জন্য ক্ষতিকর ফসিল ফুয়েল, এলএনজি এবং কয়লা খাতে আর কোনা বিনিয়োগ না করে আমাদের জন্য সুবিধাজনক এবং সাশ্রয়ী নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ কর।
২. তোমাদের বিনিয়োগকৃত প্রতিষ্ঠানে মানবাধিকার নিশ্চিত কর।
৩. তোমাদের বিনিয়োগকৃত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিবেশের যেনো কোনো ক্ষতি না হয় সেদিকে নজর রাখবে বলে আমরা আশাবাদী।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

৫০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার

সীমান্ত সম্ভারে স্বর্ণের দোকানে চাঞ্চল্যকর চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৩

রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।

মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

পোরশায় ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস, কেনা যাবে ২৫০ গ্রাম

চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।

বিষয়:
সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত