দেশ

দেশ

র‌্যাবের পৃথক অভিযানে রাজধানীতে ৮ ছিনতাইকারী ও ৩ চাঁদাবাজ গ্রেফতার

র‌্যাবের ৫টি পৃথক অভিযানে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ৮ জন ছিনতাইকারী ও ৩ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সহকারী পুলিশ সুপার ও র‌্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এম. জে. সোহেল গণমাধ্যমকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ১২ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে (১১ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত) র‌্যাব-১০ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় দুইটি পৃথক অভিযান পরিচালনা করে ৫ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের নাম ১। সাব্বির (২৮), পিতা-শুক্কর বেপারী, সাং-জানাবাদ, থানা-শ্রীনগর, জেলা-মুন্সিগঞ্জ, ২। রাব্বী (২১), পিতা-বিকচাঁন, সাং- পাড়াতইল, থানা-কেন্দুয়া, জেলা-নেত্রকোনা, ৩। মুন্না (২৫), পিতা-বাবু মিয়া, সাং-বরপা, থানা-রুপগঞ্জ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ, ৪। মোঃ সুমন (২২), পিতা-বাদশা মিয়া, সাং-বরগাও, থানা-সোনারগাঁও, জেলা-নারায়ণগঞ্জ ও ৫। রাব্বী (২৩), পিতা-শফিকুল, সাং-বরগাও, থানা-সোনারগাঁও, জেলা-নারায়ণগঞ্জ বলে জানা যায়। এসময় তাদের নিকট থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ৪টি চাকু উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে র‌্যাব-১০ এর একই দল রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় অপর দুইটি পৃথক অভিযান পরিচালনা করে ৩ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের নাম ১। মোঃ মামুন (২২), পিতা-তারা মিয়া, সাং-নুনেরটেক, থানা-সোনারগাঁও, জেলা-নারায়ণগঞ্জ, ২। মোঃ শরীফ (২২), পিতা-আলী হোসেন, সাং-আঠারোবাড়ী, থানা-ইশ্বরগঞ্জ, জেলা- ময়মনসিংহ ও ৩। মোঃ ফারুক (৩০), পিতা-বাচ্চু মিয়া, সাং-খাজুরা, থানা-ছাগলনাইয়া, জেলা-ফেনী বলে জানা যায়। এসময় তাদের নিকট থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ৩টি চাকু উদ্ধার করা হয়।

এদিকে একই তারিখ রাতে র‌্যাব-১০ এর উক্ত দল রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় অপর একটি অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন হতে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করাকালীন ০৩ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের নাম ১। মোঃ আলমাছ মিয়া (৩৮), পিতা-মৃত আঃ মুন্নাফ মিয়া, সাং-রতানী, থানা-অষ্টগ্রাম, জেলা-কিশোরগঞ্জ, ২। মোঃ বাবু (১৯), পিতা-মৃত দেলোয়ার হোসেন, সাং-আলীপুর, থানা-শিবচর, জেলা-মাদারীপুর ও ৩। মোঃ ইমন (১৯), পিতা-মিনাজ মৃধা, সাং-বদরপুর, থানা-দুমকী, জেলা-পটুয়াখালী বলে জানা যায়। এসময় তাদের নিকট থেকে আদায়কৃত চাঁদা নগদ-৫৭০/- (পাঁচশত সত্তর) টাকা ও ২টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা বেশ কিছুদিন যাবৎ যাত্রাবাড়ীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় পথচারীদের ধারালো চাকুর ভয় দেখিয়ে টাকা-পয়সা ও মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন মূল্যবান সম্পদ ছিনতাই এবং আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহনের চালক ও হেলাপারদের বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করে আসছিল।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

৫০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার

সীমান্ত সম্ভারে স্বর্ণের দোকানে চাঞ্চল্যকর চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৩

রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।

মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

পোরশায় ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস, কেনা যাবে ২৫০ গ্রাম

চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।

বিষয়:
সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত