রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোঃ জিল্লুল হাকিম বলেছেন, খাবার মানসম্মত না হলে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানের সাথে রেলওয়ের চুক্তি বাতিল করা হবে, যাত্রীদের ভালো খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার রেল ভবনের সভাকক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রেনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও ক্যাটারিং সার্ভিসের সেবার মান এবং সার্বিক বিষয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
রেলমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ট্রেনে ক্যাটারিং সার্ভিসের চুক্তি অনুযায়ী মান সম্মত খাবার প্রদানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বর্তমান বাজার মূল্য অনুযায়ী খাবার দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু যাত্রীদের অভিযোগ ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানগুলো বাসি রুটি ও গন্ধযুক্ত খাবার পরিবেশন করে। যারা ক্যাটারিং পরিচালনা করেন তাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে, খাবারের মান ভালো করতে হবে। খাবারের মান খারাপ হলে বদনাম ক্যাটারিং সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের হয় না। দুর্নাম হয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের, রেলমন্ত্রীর।
খাবারের মান স্বাস্থ্যসম্মত করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিয়মিত মনিটরিং করার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, কর্মকর্তাগণ যার যার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে খাবার মানসম্মত হবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধি পাবে এবং টিকেট কালোবাজারি বন্ধ হবে। ট্রেনে হকারদের উৎপাত বন্ধ করতে হবে, হকারদের সাথে বসে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিতে হবে ।
মন্ত্রী বলেন, ট্রেনে যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধি করতে হবে। যাত্রীদের অভিযোগ ট্রেন অপরিষ্কার এবং অনেক সময় বাথরুম ব্যবহার অযোগ্য অবস্থায় থাকে, যা মেনে নেওয়া যায় না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধিতে পরিদর্শন বাড়ানোসহ নিয়োজিত পরিচ্ছন্ন কর্মীদের মনিটরিং করার নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী বলেন, রেলে যারা দায়িত্বে আছেন তাদের হাওয়া খেলে চলবে না, কাজ করতে হবে। ভালো কাজের জন্য স্বীকৃতি দেওয়া হবে। দায়িত্বে অবহেলার কারণে বদনাম হলে সে বদনাম মন্ত্রীর হয় এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেও সে বদনামের ভাগীদার হতে হয়। প্রধানমন্ত্রীর বদনাম হয় এমন কাজ সহ্য করা হবে না। সকলকে দায়িত্বে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
সকালে মন্ত্রী এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের মহাপরিচালক Tkeo Konishi ও কান্ট্রি ডিরেক্টর Edimon Ginting-এর সাথে বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন প্রকল্পে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশ রেলওয়েকে সহযোগিতার জন্য এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান এবং চলমান প্রকল্পসমুহে আর্থিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখা এবং ভবিষ্যতে যেসব প্রকল্প নেয়া হবে সেই প্রকল্পে আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের মহাপরিচালক এবং কান্ট্রি ডিরেক্টরকে অনুরোধ করেন মন্ত্রী।
সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
এ অবস্থায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। শেষ রাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।