ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, মেধাকে স্বীকৃতি দেওয়া মানে মেধাকে প্রকাশ করার ও মেধাবী গড়ে তোলার অন্যতম প্রয়াস। আমাদের সেই মেধা দরকার যেই মেধা যন্ত্রকে দখল করবে। এগিয়ে যাওয়ার প্রধান উপাদান গুণগত শিক্ষা। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথাসিদ্ধ পাঠদানেের পাশাপাশি সহশিক্ষার সাথে যুক্ত থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে বসবে প্রাণের মেলা। আমাদের শিক্ষার্থীদের সুপার স্কিলে মনযোগী হতে হবে। আমাদের আরও বেশি ডিজিটালে দক্ষতা অর্জন করা দরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোর চেয়ে শিক্ষকদের দক্ষ বেশি হওয়া জরুরি।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষা পদ্ধতির উপর গুরুত্ব দিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর শিক্ষার অগ্রগতির জন্য বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি অর্থনীতি পরিবর্তনের জন্য শিক্ষার উপর গুরুত্ব দেন। শিক্ষা অর্থনীতিকে পরিবর্তন করে দেয়। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ছিলো আট বিলিয়ন ডলার। আর এখন হাফ ট্রিলিয়ন ডলার। ২০৪১ সালের মধ্যে অর্থনীতির আকার হবে এক ট্রিলিয়ন ডলার। এছাড়া আমাদের সংকটে কৃষিই ভরসা। কৃষি আনুষ্ঠানিকভাবে ৪০ শতাংশ কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়। কৃষি আমাদের রক্ষাকবচ।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় হোটেল গ্রান্ডপার্কে অনুষ্ঠিত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থী মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় অনুষ্ঠানের সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রু.দা.) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া শিক্ষার গুণগত মান নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মো. শওকত আলী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল বাতেন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন দিলআফরোজ খানম। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রভোস্ট, বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, কৃতি শিক্ষার্থীবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝ থেকে বক্তব্য রাখেন দর্শন বিভাগের মো. রিয়াদ মোরশেদ ও প্রাণরসায়ন ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের কৃতি শিক্ষার্থী আরিফা রহমান।
শিক্ষার্থীদের সংঘাত ও অপ্রাসঙ্গিক কার্যক্রম থেকে দূরে রাখতে এবং তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা শিক্ষাসংক্রান্ত নয় এমন বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশ নিচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি অভিভাবকদের মধ্যেও উদ্বেগ বাড়ছে।
এ পরিস্থিতি এড়াতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষামুখী রাখার জন্য বিভিন্ন কো-কারিকুলার কার্যক্রম বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে ৯টি কার্যক্রমের একটি নমুনা তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত ৯টি কার্যক্রম :
১. আঙিনা পরিচ্ছন্নতা অভিযান : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্যোগ।
২. বিজয়ের ৩৬ জুলাই ভিত্তিক গ্রাফিতি : নির্বাচিত গ্রাফিতি নিয়ে সফট অ্যালবাম তৈরি এবং শ্রেষ্ঠ গ্রাফিতি পুরস্কার প্রদান।
৩. থিম সং পরিবেশনা : ‘ক্রান্তিকালে তারুণ্য দুর্জয়’ থিমে গান তৈরি, পরিবেশনা, সফট অ্যালবাম তৈরি ও প্রতিযোগিতার আয়োজন।
৪. পারসোনাল হাইজিন প্রশিক্ষণ : গার্লস স্কুল ও কলেজে মেয়েদের জন্য ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ।
৫. জাতীয় দিবসে আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ : বিএনসিসি, স্কাউট ও রোভার স্কাউটের সহায়তায় কুচকাওয়াজের আয়োজন।
৬. প্রকৃতি দর্শন : শিক্ষার্থীদের জন্য নিকটবর্তী নান্দনিক স্থান যেমন নদীতীর, চর, উপকূল বা পাহাড় ভ্রমণের আয়োজন।
৭. ক্রীড়া প্রতিযোগিতা : ক্রিকেট, ফুটবল ও ভলিবল টুর্নামেন্টের আয়োজন।
৮. জেন-জি উদ্যোক্তা বিতর্ক প্রতিযোগিতা : তরুণ উদ্যোক্তা কর্মী তৈরির লক্ষ্যে বিতর্ক প্রতিযোগিতা।
৯. জুলাই বিপ্লব বিষয়ক আলোচনা সভা : ‘জুলাই বিপ্লব কী, কেন, কিভাবে’ বিষয়ে ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকদের আলোচনার আয়োজন।
অভিভাবকদের সম্পৃক্ত করার আহ্বান
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অভিভাবকদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে শ্রেণিকক্ষ কার্যক্রম ও কো-কারিকুলার কার্যক্রমকে জোরদার করতে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় মনে করে, এসব কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতাকে উজ্জীবিত করবে এবং শিক্ষার পরিবেশ উন্নত করবে।
ঈদুল আযহার ছুটি শেষে রবিবার খুলছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরমেবি)।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, রবিবার থেকে যথারীতি একাডেমিক এবং দাপ্তরিক সব কাজ চলমান থাকবে।
এরই মাঝে দীর্ঘ যানজট উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে ফিরতে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, গত ১২ জুন থেকে ২২ জুন মোট ১০ দিন ঈদুল আযহার ছুটি পায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।