শিক্ষা

শিক্ষা

সেশনজটে ভুগছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা

নেই পর্যাপ্ত ক্লাসরুম। একটি কক্ষেই চলে একটি বিভাগের সকল ব্যাচের ক্লাস, পরীক্ষা।

এদিকে শিক্ষক সংকটে অনেক বিভাগের সেমিস্টারের ফলাফল দিতেও লাগছে ৫ থেকে ৬ মাস। যেখানে ৬ মাসে সেমিস্টার শেষ করার কথা সেখানে ৮ মাসেও শেষ হয় না। কারণ কিছু সংখ্যক শিক্ষক মিলে অনেকগুলো ব্যাচের খাতা দেখতে হয়। সে কারণে পরবর্তী সেমিস্টারের পরীক্ষা নিতেও দেরি হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধিকাংশ বিভাগে দেখা যায় প্রয়োজনের তুলনায় শিক্ষক খুবই নঘণ্য। গড়ে ৫৩ জন শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে একজন শিক্ষক। যেখানে অর্গানোগ্রামভুক্তে ৪৫৩ জন শিক্ষক থাকার কথা সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ছাড়কৃত ২১০ জন। তারমধ্যে পাঠদান নিচ্ছে বর্তমানে ১৬৫ জন। বাকি শিক্ষকরা রয়েছেন উচ্চতর ডিগ্রি নিতে শিক্ষা ছুটিতে। শিক্ষক সংকটের পাশাপাশি কক্ষ সংকট প্রকোপ। প্রতিটি বিভাগের জন্য রয়েছে মাত্র একটি কক্ষ, তাও সেটি মৌখিকভাবে। অনেক সময় শিক্ষকরা নিজের বসার স্থানও পায় না। একটা ছোট রুমে পাঁচ-ছয় জন শিক্ষককে গাদাগাদি করে বসতে হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েকদিন আগে আমি যোগদান করেছি। যোগদান করেই ইউজিসিকে চিঠি দিয়েছি যাতে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে পারেন।

অন্য একটি সূত্র বলছেন, কয়েকদিন আগে তারা জানেন ১৩টি বিভাগে ১৩ জন শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে নির্দেশ দিতে বা ছাড়পত্র দিতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন(ইউজিসি)।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, আমার মুখ্য বিষয় শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করা। শিক্ষক সংকট দূরীকরণে বদ্ধপরিকর। যাতে শিক্ষার্থীরা সেশনজটের সম্মুখীন না হতে হয়, সে ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলোর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন শিক্ষক নিয়োগ না হলেও প্রতিবছরই আসছে নতুন নতুন ব্যাচ। এতে শিক্ষক সংকট চরমে উঠেছে। এরমধ্যে গবেষণাসহ অন্যান্য বিষয়ে দিক নির্দেশনা দিতে শিক্ষার্থীদের আলাদাভাবে সময় দিতে হয়। একজন শিক্ষকের দ্বারা এতগুলো ক্লাস নেওয়া, খাতা মূল্যায়ন করাসহ বেশকিছু একাডেমিক কার্যক্রমে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। শিক্ষক সংকটটা দূর হলে শিক্ষার গুণগতমান আরও বাড়বে বলে আশাবাদি বিভাগগুলো।

শিক্ষক সংকটে শিক্ষার গুণগতমান নিয়ে প্রশ্ন তুললে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, যেকোন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট থাকলে সেটি শুধু গুণগতমান নয়, একটি বিভাগের সবদিকে প্রভাব পড়তে পারে। যদি ইউজিসির অর্গানোগ্রামে শিক্ষকের চাহিদা থাকে, তাহলে প্রত্যাশানুযায়ী শিক্ষক সংকট দূরীকরণে পদক্ষেপ নেয়া উচিত। শিক্ষা ছুটিতে যারা আছেন, সেই সংখ্যার বিপরীতে নিয়োগ দিলে বিভাগের সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছি।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের ৯ নির্দেশনা

শিক্ষার্থীদের সংঘাত ও অপ্রাসঙ্গিক কার্যক্রম থেকে দূরে রাখতে এবং তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা শিক্ষাসংক্রান্ত নয় এমন বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশ নিচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি অভিভাবকদের মধ্যেও উদ্বেগ বাড়ছে।

এ পরিস্থিতি এড়াতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষামুখী রাখার জন্য বিভিন্ন কো-কারিকুলার কার্যক্রম বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে ৯টি কার্যক্রমের একটি নমুনা তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত ৯টি কার্যক্রম :
১. আঙিনা পরিচ্ছন্নতা অভিযান : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্যোগ।
২. বিজয়ের ৩৬ জুলাই ভিত্তিক গ্রাফিতি : নির্বাচিত গ্রাফিতি নিয়ে সফট অ্যালবাম তৈরি এবং শ্রেষ্ঠ গ্রাফিতি পুরস্কার প্রদান।
৩. থিম সং পরিবেশনা : ‘ক্রান্তিকালে তারুণ্য দুর্জয়’ থিমে গান তৈরি, পরিবেশনা, সফট অ্যালবাম তৈরি ও প্রতিযোগিতার আয়োজন।
৪. পারসোনাল হাইজিন প্রশিক্ষণ : গার্লস স্কুল ও কলেজে মেয়েদের জন্য ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ।
৫. জাতীয় দিবসে আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ : বিএনসিসি, স্কাউট ও রোভার স্কাউটের সহায়তায় কুচকাওয়াজের আয়োজন।
৬. প্রকৃতি দর্শন : শিক্ষার্থীদের জন্য নিকটবর্তী নান্দনিক স্থান যেমন নদীতীর, চর, উপকূল বা পাহাড় ভ্রমণের আয়োজন।
৭. ক্রীড়া প্রতিযোগিতা : ক্রিকেট, ফুটবল ও ভলিবল টুর্নামেন্টের আয়োজন।
৮. জেন-জি উদ্যোক্তা বিতর্ক প্রতিযোগিতা : তরুণ উদ্যোক্তা কর্মী তৈরির লক্ষ্যে বিতর্ক প্রতিযোগিতা।
৯. জুলাই বিপ্লব বিষয়ক আলোচনা সভা : ‘জুলাই বিপ্লব কী, কেন, কিভাবে’ বিষয়ে ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকদের আলোচনার আয়োজন।

অভিভাবকদের সম্পৃক্ত করার আহ্বান
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অভিভাবকদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে শ্রেণিকক্ষ কার্যক্রম ও কো-কারিকুলার কার্যক্রমকে জোরদার করতে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় মনে করে, এসব কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতাকে উজ্জীবিত করবে এবং শিক্ষার পরিবেশ উন্নত করবে।

পরবর্তী খবর

ঈদের ছুটি শেষে খুলছে মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়

ঈদুল আযহার ছুটি শেষে রবিবার খুলছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরমেবি)।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, রবিবার থেকে যথারীতি একাডেমিক এবং দাপ্তরিক সব কাজ চলমান থাকবে।

এরই মাঝে দীর্ঘ যানজট উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে ফিরতে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, গত ১২ জুন থেকে ২২ জুন মোট ১০ দিন ঈদুল আযহার ছুটি পায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত