দেশ

দেশ

কানাইঘাটের নজরুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামি কামরুল ও দিলদার আটক

সিলেট জেলার কানাইঘাট এলাকায় চাঞ্চল্যকর নজরুল ইসলাম হত্যা মামলায় জড়িত পলাতক আসামি কামরুল ও দিলদারকে রাজধানীর ডেমরা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। সহকারী পুলিশ সুপার ও র‌্যাব-১০ এর উপপরিচালক (মডিয়া), এম.জে সোহেল অভিযান ও গ্রেফতারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, গত ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুর ৩:৪০টায় র‌্যাব-১০ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার ডেমরা থানাধীন সারুলিয়া বাজার এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে সিলেট জেলার কানাইঘাট থানার মামলা নং- ১৫, তারিখ- ২৬/০১/২০২৪ খ্রি.; ধারা-দণ্ডবিধি আইন ১৮৬০ এর ১৪৩/৪৪৭/৪৪৭/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩০৭/৩৭৯/৪২৭/৫০৬ সংযোজন দণ্ডবিধি-১৮৬০ এর ৩০২; চাঞ্চল্যকর মোঃ নজরুল ইসলাম (৫৭) হত্যা মামলায় জড়িত পলাতক এজাহার ভুক্ত ০৩ নং আসামি মোঃ কামরুল ইসলাম (২৪) ও এজাহার ভুক্ত ০৪ নং আসামি মোঃ দিলদার হোসেন (২১), উভয় পিতা-মোঃ হোসেন আহম্মদ, সাং-পর্বতপুর, রতনপুর, থানা-কানাইঘাট, জেলা-সিলেট-দ্বয়কে গ্রেফতার করে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ভিকটিম মোঃ নজরুল ইসলাম ও আসামিরা পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দা। নজরুল ইসলামের সাথে আসামিদের মামলা-মোকদ্দমা নিয়ে পূর্ব হতে বিরোধ চলে আসছিল। গত ২৬/০১/২০২৪ তারিখ সকাল আনুমানিক ১১:০০টায় নজরুল তার নিজ মালিকানাধীন জমিতে ঘাস খাওয়ার জন্য ০৬টি গরু রেখে আসলে আসামি কামরুল ও দিলদারসহ অন্যান্য আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে গরুগুলো চুরি করে নিয়ে যায়। এসময় নজরুল উক্ত ঘটনা জানতে পেরে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে আসামিরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে ঘটনার দিন বিকাল আনুমানিক ০৩:০০টার সময় আসামি কামরুল ও দিলদারসহ অন্যান্য আসামিরা ভিকটিমের বাড়ির টিন ও কাঠের দরজা ভেঙে ভিকটিমকে টেনে হিঁচড়ে বের করে এবং দা, রড, সুপারি গাছের রুইল, লাঠি দিয়ে নজরুলকে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারি আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩০/০১/২০২৪ তারিখ সকালে মৃত্যুবরণ করেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয় উক্ত হত্যাকাণ্ডের সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। তারা উক্ত হত্যাকাণ্ডের পর থেকে নিজেদেরকে আইনের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ঢাকার ডেমরাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল বলে জানা যায়।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

৫০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার

সীমান্ত সম্ভারে স্বর্ণের দোকানে চাঞ্চল্যকর চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৩

রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।

মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

পোরশায় ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস, কেনা যাবে ২৫০ গ্রাম

চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।

বিষয়:
সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত