বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উজিরপুর শিক্ষার্থী কল্যাণ পরিষদের কমিটি গঠিত হয়েছে। আজ রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) উজিরপুর শিক্ষার্থী কল্যাণ পরিষদের নতুন কমিটি অনুমোদন করা হয়। কমিটিতে মোহাম্মদ আরাফাত ইসলামকে (অর্থনীতি বিভাগ) সভাপতি এবং মোহাম্মদ জিহাদকে (ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগ) সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
নব নির্বাচিত সভাপতি মোহাম্মদ আরাফাত ইসলাম তার বক্তব্যে জানান, ‘উজিরপুর শিক্ষার্থী কল্যাণ কমিটিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি আমার সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করব। কমিটির সভাপতির যে দায়িত্ব, আমি সৎভাবে তা পালন করব। আমি সব সময় সজাগ থাকবো। উজিরপুরের সকল শিক্ষার্থীদের সহায়তায় আমাকে তারা সব সময় তাদের পাশে পাবেন।’
সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জিহাদ তার বক্তব্যে বলেন, ‘উজিরপুরের সকল শিক্ষার্থী আমার ভাই এবং বোন। তাদের সকল বিপদ-আপদে আমাকে সব সময় তাদের পাশে পাবে। এই কমিটিটাকে সুন্দরভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা সকলেই আমাদের সর্বস্ব দিয়ে কাজ করব।’
কমিটির অন্যান্য পদে দায়িত্ব পেয়েছেন-
সহ-সভাপতি :
১। মোহাম্মদ মিরাজ আহমেদ (ইংরেজি)
২। শান্তা রহমান (বাংলা)
৩। মোহাম্মদ ফাহিম শিকদার (সমাজ বিজ্ঞান)
৪। মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম (অর্থনীতি)
৫। মোহাম্মদ রোকন (বাংলা)
৬। শান্তা ইসলাম (রাষ্ট্রবিজ্ঞান)
৭। সুজন মাহমুদ (রাষ্ট্রবিজ্ঞান)
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক : ইজাজুল রহমান শুভ (ইতিহাস)
অর্থ সম্পাদক : তরিকুল ইসলাম নকিব (ইতিহাস)
দপ্তর সম্পাদক : সাব্বির হোসেন (রাষ্ট্রবিজ্ঞান)
নারী বিষয়ক সম্পাদক : নিপা আক্তার (একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন)
রত্না আক্তার (ইংরেজি)
শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক : মোঃ ইমরান সিকদার (সি এস ই)
সাংগঠনিক সম্পাদক :
১। সৌরভ রাজ (ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং)
২। পলাশ মজুমদার (অর্থনীতি)
৩। তন্ময় বিশ্বাস (লোকপ্রশাসন)
ক্রীড়া সম্পাদক : সাদমান শাহরিয়ার (অর্থনীতি)
আইন বিষয়ক সম্পাদক : তরিকুল ইসলাম (রাষ্ট্রবিজ্ঞান)
আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক : সাঈদ হোসেন (সমাজবিজ্ঞান)
শিক্ষার্থীদের সংঘাত ও অপ্রাসঙ্গিক কার্যক্রম থেকে দূরে রাখতে এবং তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা শিক্ষাসংক্রান্ত নয় এমন বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশ নিচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি অভিভাবকদের মধ্যেও উদ্বেগ বাড়ছে।
এ পরিস্থিতি এড়াতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষামুখী রাখার জন্য বিভিন্ন কো-কারিকুলার কার্যক্রম বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে ৯টি কার্যক্রমের একটি নমুনা তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত ৯টি কার্যক্রম :
১. আঙিনা পরিচ্ছন্নতা অভিযান : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্যোগ।
২. বিজয়ের ৩৬ জুলাই ভিত্তিক গ্রাফিতি : নির্বাচিত গ্রাফিতি নিয়ে সফট অ্যালবাম তৈরি এবং শ্রেষ্ঠ গ্রাফিতি পুরস্কার প্রদান।
৩. থিম সং পরিবেশনা : ‘ক্রান্তিকালে তারুণ্য দুর্জয়’ থিমে গান তৈরি, পরিবেশনা, সফট অ্যালবাম তৈরি ও প্রতিযোগিতার আয়োজন।
৪. পারসোনাল হাইজিন প্রশিক্ষণ : গার্লস স্কুল ও কলেজে মেয়েদের জন্য ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ।
৫. জাতীয় দিবসে আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ : বিএনসিসি, স্কাউট ও রোভার স্কাউটের সহায়তায় কুচকাওয়াজের আয়োজন।
৬. প্রকৃতি দর্শন : শিক্ষার্থীদের জন্য নিকটবর্তী নান্দনিক স্থান যেমন নদীতীর, চর, উপকূল বা পাহাড় ভ্রমণের আয়োজন।
৭. ক্রীড়া প্রতিযোগিতা : ক্রিকেট, ফুটবল ও ভলিবল টুর্নামেন্টের আয়োজন।
৮. জেন-জি উদ্যোক্তা বিতর্ক প্রতিযোগিতা : তরুণ উদ্যোক্তা কর্মী তৈরির লক্ষ্যে বিতর্ক প্রতিযোগিতা।
৯. জুলাই বিপ্লব বিষয়ক আলোচনা সভা : ‘জুলাই বিপ্লব কী, কেন, কিভাবে’ বিষয়ে ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকদের আলোচনার আয়োজন।
অভিভাবকদের সম্পৃক্ত করার আহ্বান
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অভিভাবকদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে শ্রেণিকক্ষ কার্যক্রম ও কো-কারিকুলার কার্যক্রমকে জোরদার করতে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় মনে করে, এসব কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতাকে উজ্জীবিত করবে এবং শিক্ষার পরিবেশ উন্নত করবে।
ঈদুল আযহার ছুটি শেষে রবিবার খুলছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরমেবি)।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, রবিবার থেকে যথারীতি একাডেমিক এবং দাপ্তরিক সব কাজ চলমান থাকবে।
এরই মাঝে দীর্ঘ যানজট উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে ফিরতে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, গত ১২ জুন থেকে ২২ জুন মোট ১০ দিন ঈদুল আযহার ছুটি পায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।