বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ৫০টি আসন বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়টির মোট আসনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৭০টি। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ৪২তম সভা এবং সিন্ডিকেটের ৮২তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে বর্ধিত আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি নেবে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান শাখার ‘এ’ ইউনিটে ৬০০টি, ‘বি’ ইউনিট তথা মানবিক শাখায় ৬২০টি এবং ‘সি’ ইউনিটের শিক্ষার্থীদের জন্য ৩০০টি আসন ছিল।
বর্ধিত আসনের হিসেবে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে দর্শন বিভাগে ৩০টি থেকে ৫০টি, ইতিহাস বিভাগ ৪০টি থেকে ৫০টি, প্রাণ রসায়ন ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগে ৩০টি থেকে ৪০টি এবং পরিসংখ্যান বিভাগে ৩০টি থেকে ৪০টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি নেবে ববি।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ধারাবাহিকভাবে আসন সংখ্যা বাড়ছে। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে মোট আসন ছিল ১ হাজার ৪৫০টি, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ৫০টি বৃদ্ধি করে করা হয় ১ হাজার ৪৯০টি, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে করা হয় ১ হাজার ৫২০টি। বর্তমানে ৫০টি আসন বৃদ্ধির ফলে আসন দাড়িয়েছে ১ হাজার ৫৭০টি।
২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে ছয়টি বিষয়ে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম দিয়ে যাত্রা শুরু করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠাকালীন ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে আসনসংখ্যা ছিল মাত্র ৬২০টি। বর্তমানে ৬টি অনুষদের ২৫টি বিভাগে আসন রয়েছে ১ হাজার ৫২০টি।
শিক্ষার্থীদের সংঘাত ও অপ্রাসঙ্গিক কার্যক্রম থেকে দূরে রাখতে এবং তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা শিক্ষাসংক্রান্ত নয় এমন বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশ নিচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি অভিভাবকদের মধ্যেও উদ্বেগ বাড়ছে।
এ পরিস্থিতি এড়াতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষামুখী রাখার জন্য বিভিন্ন কো-কারিকুলার কার্যক্রম বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে ৯টি কার্যক্রমের একটি নমুনা তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত ৯টি কার্যক্রম :
১. আঙিনা পরিচ্ছন্নতা অভিযান : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্যোগ।
২. বিজয়ের ৩৬ জুলাই ভিত্তিক গ্রাফিতি : নির্বাচিত গ্রাফিতি নিয়ে সফট অ্যালবাম তৈরি এবং শ্রেষ্ঠ গ্রাফিতি পুরস্কার প্রদান।
৩. থিম সং পরিবেশনা : ‘ক্রান্তিকালে তারুণ্য দুর্জয়’ থিমে গান তৈরি, পরিবেশনা, সফট অ্যালবাম তৈরি ও প্রতিযোগিতার আয়োজন।
৪. পারসোনাল হাইজিন প্রশিক্ষণ : গার্লস স্কুল ও কলেজে মেয়েদের জন্য ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ।
৫. জাতীয় দিবসে আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ : বিএনসিসি, স্কাউট ও রোভার স্কাউটের সহায়তায় কুচকাওয়াজের আয়োজন।
৬. প্রকৃতি দর্শন : শিক্ষার্থীদের জন্য নিকটবর্তী নান্দনিক স্থান যেমন নদীতীর, চর, উপকূল বা পাহাড় ভ্রমণের আয়োজন।
৭. ক্রীড়া প্রতিযোগিতা : ক্রিকেট, ফুটবল ও ভলিবল টুর্নামেন্টের আয়োজন।
৮. জেন-জি উদ্যোক্তা বিতর্ক প্রতিযোগিতা : তরুণ উদ্যোক্তা কর্মী তৈরির লক্ষ্যে বিতর্ক প্রতিযোগিতা।
৯. জুলাই বিপ্লব বিষয়ক আলোচনা সভা : ‘জুলাই বিপ্লব কী, কেন, কিভাবে’ বিষয়ে ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকদের আলোচনার আয়োজন।
অভিভাবকদের সম্পৃক্ত করার আহ্বান
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অভিভাবকদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে শ্রেণিকক্ষ কার্যক্রম ও কো-কারিকুলার কার্যক্রমকে জোরদার করতে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় মনে করে, এসব কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতাকে উজ্জীবিত করবে এবং শিক্ষার পরিবেশ উন্নত করবে।
ঈদুল আযহার ছুটি শেষে রবিবার খুলছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরমেবি)।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, রবিবার থেকে যথারীতি একাডেমিক এবং দাপ্তরিক সব কাজ চলমান থাকবে।
এরই মাঝে দীর্ঘ যানজট উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে ফিরতে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, গত ১২ জুন থেকে ২২ জুন মোট ১০ দিন ঈদুল আযহার ছুটি পায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।