দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী রোববার (৭ জানুয়ারি)। এ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে আজ বুধবার (৩ জানুয়ারি) থেকে মাঠে নেমেছে সশস্ত্র বাহিনী। সেনাবাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও মহানগরী এলাকার মোড়ে এবং অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর—আইএসপিআর মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ‘সশস্ত্র বাহিনী শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিতে ৩ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন/ স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান করবে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা/ উপজেলা/ মেট্রোপলিটন এলাকার ‘নোডাল পয়েন্ট’ ও অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবে। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধক্রমে ও সমন্বয়ের মাধ্যমে বাহিনীসমূহ এলাকাভিত্তিক মোতায়েন সম্পন্ন করবে।’
আইএসপিআর জানায়, উপকূলীয় দুটি জেলাসহ (ভোলা ও বরগুনা) ১৯টি উপজেলায় দায়িত্ব পালন করবে নৌবাহিনী।
সমতলে সীমান্তবর্তী ৪৫টি উপজেলায় বিজিবি এককভাবে দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া সীমান্তবর্তী ৪৭টি উপজেলায় সেনাবাহিনী বিজিবির সঙ্গে এবং উপকূলীয় চারটি উপজেলায় কোস্ট গার্ডের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করবে।
অপরদিকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী হেলিকপ্টারযোগে পার্বত্য অঞ্চলের ভোটকেন্দ্রসমূহে প্রয়োজনীয় হেলিকপ্টার সহায়তা দেবে। জরুরি প্রয়োজনে বিমান বাহিনীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টারও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/ বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যৌথ সমন্বয় সেল স্থাপন করা হয়েছে, যা ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। আগামী ৭ জানুয়ারি হবে ভোটগ্রহণ। ভোটের আগের চার দিন, ভোটের দিন ও পরের তিন দিন পর্যন্ত মাঠে কাজ করবে সশস্ত্র বাহিনী।
বাংলাদেশে আগামী ১৭ই জুন (সোমবার) পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হবে। বাংলাদেশের আকাশে শুক্রবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় ১৪৪৫ হিজরি সনের জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা থেকে এ তথ্য জানানো হয়। ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
হিজরি বর্ষপঞ্জি অনুসারে ১০ জিলহজ মুসলিমদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উদযাপন করা হয়। এদিন সারা দেশে মুসলমানরা মহান আল্লাহর অনুগ্রহের আশায় ঈদের জামাত শেষে পশু কোরবানি করেন।
এদিকে, সৌদি আরবের আকাশেও স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সেই হিসেবে আগামী ১৬ জুন (১০ জিলহজ) সৌদিতে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেট উত্থাপন হতে যাচ্ছে আজ। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করবেন। এটি হবে তাঁর প্রথম বাজেট ঘোষণা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় সংসদে তিনি প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করবেন।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটের অকার হবে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে রাজস্ব আয়সহ মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এবারের বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম করা হয়েছে ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’। সাধারণত বাজেট অধিবেশন দীর্ঘ হয়। আগামী ৩০ জুন বাজেট পাস হওয়ার কথা রয়েছে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য করছাড় সুবিধা পেতে পারে বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্র।
আসন্ন বাজেট পরিকল্পনা প্রসঙ্গে সম্প্রতি অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রপ্তানিপণ্যের বৈচিত্র্যকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও প্রান্তিক মানুষের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি এবারের বাজেটে অগ্রাধিকারে থাকবে। বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ অগ্রাধিকার পাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যেসব খাত দীর্ঘদিন কর অবকাশ সুবিধা পেয়ে আসছে, সেসব খাত থেকে এবারে কর অব্যাহতির সুবিধা উঠিয়ে দেয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছিলো, সেই লক্ষ্য পূরণকে সর্বাগ্রে জোর দেয়া হচ্ছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
অর্থ মন্ত্রণালয় আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে-অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইট www.mof.gov.bd এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবাসইট www.nbr.gov.bd- এ বাজেটের সব তথ্যাদি ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল যেকোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পড়তে পারবেন এবং ডাউনলোডও করা যাবে। এছাড়া দেশ ও দেশের বাইরে থেকে budgetfeedback@finance.gov.bd এই ইমেলের মাধ্যমে বাজেট সম্পর্কে মতামত ও সুপারিশ পাঠাতে পারবেন।