দেশ, লিড নিউজ

দেশ, লিড নিউজ

তীব্র তাপদহে পুড়ছে সারাদেশ, কর্মজীবনে অচলাবস্থা

তাপদাহে পুড়ছে দেশ সারাদেশের ন‍্যায় যশোরেও মারাত্মক আকারে তাপমাত্রা জেঁকে বসেছে। গত কয়েকদিনে যশোরে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা বাংলাদেশের সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরবাসী উপভোগ করছে।

তীব্র তাপদহে জ্বলছে শার্শা উপজেলা সহ যশোর জেলার সবকটি উপজেলার প্রত‍্যন্ত অঞ্চল। তাপ ও ভ‍্যাপসা গরমে নাকাল এলাকাবাসী। সকালে সূর্যদয়ের সাথে তুলনামূলক নরম রোদ উঠলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে রোদের ঝাঁঝ ও তাপ তত বাড়ছে।

তাপমাত্রার এই রোদে বিশেষ করে দুপুরে অনেকেই ঘরে থাকতে পারছেন না। ঘরে ইলেকট্রিক ফ‍্যান থাকলেও বাতাসে অত‍্যন্ত তাপ বিরাজ করছে। ফলে ঘরের ফ‍্যানের চাইতে খোলা আকাশের নিচে প্রাকৃতিক বাতাসের আশায় ফাঁকা জায়গাই গাছ তলায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ।

এই অস্বাভাবিক গরমে একটু স্বস্তির প্রাকৃতিক বাতাসেও প্রচণ্ড গরম তাপের সংমিশ্রণে নাভিশ্বাস হয়ে উঠছে স্বাভাবিক জীবন যাপন।

অস্বাভাবিক তাপদহে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম অস্থিরতা। কর্মজীবনে ও ব‍্যবসা বাণিজ‍্যে দেখা দিয়েছে অচলাবস্থা। বাজার প্রায় ক্রেতা শূন্য। আশানুরুপ বেচাকেনা না হওয়ায় সব অলস সময় কাটাচ্ছেন বিক্রেতারা। জেলা শহর, উপজেলার সদর, বড় বড় বাজারসহ গ্রামগঞ্জের বাজারগুলোতে দেখা গেছে জনমানবহীন মরুভূমী।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ছোট খাটোসহ বড় বড় মার্কেট, শপিং মল ক্রেতাশূন‍্য। এমনকি দোকানপাট, ব‍্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে অনেকে।

বেনাপোল-যশোর মহাসড়ক ফাঁকা ও বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহনসহ ভ‍্যান, বাইক, সিএনজিগুলো যাত্রীশূন‍্যভাবে চলছে। এই গরম সহ্য করতে না পেরে বিশেষ করে বয়োঃজ্যেষ্ঠ বৃদ্ধ মানুষসহ পশুপাখি হিট স্ট্রোকের শিকার হয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করতে হচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গাই অনেকেই অকাল মৃত্যুর শিকার হয়েছেন, যা অনেক পত্রপত্রিকায় খবর এসেছে।

সাধারণ জনগণের সাথে আলাপকালে অনেকে বলেন, বিশেষ করে খেটে খাওয়া দিন মজুররা আক্ষেপের সাথে বলেন, এখন ইরি বোরো ধান কাটার মৌসুম চলছে। এই অসহনীয় গরমে কেউ ধান কাটতে মাঠে যেতে চাইছে না। এই মৌসুমে ধান কেটে ও মাঠে শ্রম দিয়ে অনেকে রোজগার করে থাকেন। অনেক বিত্তবান কৃষক মহাজন আছে যারা শ্রমিক জনবল লাগিয়ে ক্ষেতের ফসল ঘরে তোলেন। তারা বলেন, এই গরমে অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দিয়ে ক্ষেতের ধান কাটতে হচ্ছে। তাও আবার সময়মত লোক পাওয়া যাচ্ছে না।

চলমান তাপদহের মধ্যে আরও দুঃসংবাদ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের এই তাপমাত্রার চেয়েও আরও তীব্র থেকে বেড়ে তীব্র ভয়ংকর রূপে তাপদহের কবলে পড়তে যাচ্ছে গোটা দেশ যা মে মাস থেকে পরিলক্ষিত হবে।

এরূপ সংবাদে আরও চিন্তিত হয়ে পড়েছে গোটা দেশ ও ভুক্তভোগী আপামর জনগণ। চলমান তাপদাহ না যেতেই আরও বড় পরিসরে এরচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে তাপদাহ আসছে।

এহেন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাঁচতে যশোরের শার্শা উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইসতেসকার নামাজ ও ২৬শে এপ্রিল শুক্রবার মসজিদে জুম্মা নামাজে বিশেষ দোয়া ও বিভিন্ন উপসানলয়ে প্রার্থনা করা হয়।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস

সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

এ অবস্থায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। শেষ রাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

 

পরবর্তী খবর

৫০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার

সীমান্ত সম্ভারে স্বর্ণের দোকানে চাঞ্চল্যকর চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৩

রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।

মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।

বিষয়:
সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত