দেশ, নির্বাচন

দেশ, নির্বাচন

জনপ্রিয়তায় এগিয়ে মিলন, তাকে চায় শার্শাবাসী

আসন্ন শার্শা ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে “ভাইস চেয়ারম্যান” পদে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীর নামের তালিকায় যে ক’জন প্রার্থীর নাম মাঠে-ময়দানে উঠে এসেছে, তাদের মধ্যে অন্যতম একজন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এর উলাশী ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত সাবেক ইউপি সদস্য উলাশী গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে তরিকুল ইসলাম মিলন। তার মার্কা টিয়া পাখি।

নির্বাচনী এলাকায় তার জনপ্রিয়তা অন্যান্য প্রার্থীর চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন। উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়ন ও পাড়া মহল্লায় মিলন জনপ্রিয়তায় শীর্ষে। প্রত্যেক এলাকায় তার নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে চলছে মতবিনিময় সভা। সভায় সাধারণ মানুষ ব্যাপক উপস্থিতি এবং ধর্ম বর্ণ, দল মত নির্বিশেষে জোড়ালোভাবে তাকে সমর্থন জানিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করার অভিমত ব্যক্ত করছেন সাধারণ ভোটাররা।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে নির্বাচনী মাঠে প্রার্থীদের প্রচারণা দেখা গেছে, প্রার্থীরা হাট বাজার, চা স্টলে এখন শুধু তরিকুল ইসলাম মিলনের কর্মকাণ্ড নিয়েই আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সবাই মুখে মুখে এখন শুধু মিলনের বিষয়টি আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মিলন একজন সৎ, ধার্মিক স্বজ্জন ব্যক্তি হওয়ায় তাকে নির্বাচিত করতে চাই উপজেলাবাসী।

তরিকুল ইসলাম মিলন ব‍্যক্তিগত জীবনে পড়াশোনা শেষ করে আকিজ কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজ নাভারন হলি চাইল্ড স্কুলে সুনামের সাথে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং স্থানীয় উলাশী মাধ্যমিক বিদ‍্যালয়ের ম‍্যানেজিং কমিটির নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি অসংখ্য গরীব অসহায় রোগীদের বিনামুল্যে চিকিৎসা, গরীব শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার খরচ বহন করে থাকেন অনেকাংশে। ছাত্র জীবনে ১৯৯৬ সালে ঐতিহ্যবাহী নাভারন ডিগ্রী কলেজের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বতর্মান উপজেলা যুবলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে তিনি নিজের ব‍্যক্তিগত সমর্থকসহ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীসহ দলমত নির্বিশেষে উপজেলার সাধারণ মানুষের সাথে তার নিবিঢ় সম্পর্ক রয়েছে। ২০০১-২০০৬ সালের তৎকালীন জোট সরকারের রেষাণলে একাধিকবার হামলা মামলার শিকার হয়েছেন। জোট সরকার বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। এমনকি ১/১১ সরকারের সময়েও তিনি কারাবরণ করেছেন। আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কান্ডারী পরীক্ষীত ত‍্যাগী মিষ্টিভাষী হাস‍্যজ্জল তরুণ নেতা হিসেবে শার্শা উপজেলার ৯নং উলাশী ইউনিয়নসহ ইতোমধ্যে উপজেলাব‍্যাপী ব‍্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন।

প্রার্থী তরিকুল ইসলাম মিলন গনসংযোগকালে বলেন, আমি ও আমার পরিবার জন্মলগ্ন থেকে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে ছাত্র রাজনীতি থেকেই আমার পথচলা। তার মানসকন‍্যা বতর্মান সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ ও আধুনিক মডেল শার্শা উপজেলা গড়তে এবারের উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে শার্শাবাসী তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে আমাকে জয়যুক্ত করবে বলে শতভাগ আশাবাদ ব‍্যাক্ত করেন।

তিনি উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের প্রত‍্যন্ত গ্রামঞ্চলে প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত বিরতিহীনভাবে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করছেন।

সরেজমিনে বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, ভোটারদের আশা ভরসার প্রতীক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তরিকূল ইসলাম মিলন।

সাধারণ ভোটাররা বলেন, যে সাধারণ মানুষের খোঁজখবর নেবেন আমরা তাকে ভোট দেব।

উলাশী ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্য কবীর বলেন, আমরা কোন কোকিল পাখীকে ভোট দেব না। যাকে আমরা সুখে দুঃখে পাশে পাই সে হচ্ছে আমাদের মিলন ভাই। আমরা তাকে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই।

কায়বা ইউনিয়নের আব্দুল্লাহ,বাগআচড়া ইউনিয়নের ইদ্রিস আলী, গোগা ইউনিয়নের জসীমউদ্দীন, বেনাপোল ইউনিয়নের মুনছুর আলী ও খাজুরা গ্রামের আঃ রউফসহ পুটখালী, বাহাদুরপুর, লক্ষণপুর, ডিহি ইউনিয়নের অধিকাংশ ভোটাররা টিয়া পাখী মার্কার পক্ষে তারা স্বফূর্তভাবে তাদের মতামত ব‍্যক্ত করেন।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

বসুন্ধরা পারলে কেন সিটি করপোরেশন পারবে না

ভোররাত থেকে বৃষ্টি হচ্ছিল। সারা রাত আকাশে মেঘ ছিল। আষাঢ় শেষ হয়ে আসছে। বর্ষাকাল। এখন এরকমই হওয়ার কথা। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হবে হঠাৎ করেই। ঝুপ ঝুপ করে নামবে বৃষ্টি। কখনও থেকে থেকে, কখনও অবিরাম। এ বছরের বর্ষায় প্রবল বৃষ্টি হতে পারে, আবহাওয়াবিদরা পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। জলবায়ু পরিবর্তন এখন পৃথিবীর সবচাইতে বড় সমস্যা। যেদিন আমরা পিছনে ফেলে এসেছি, যে আবহাওয়ায় বড় হয়েছি, সেই আবহাওয়া এখন আর নেই। শীতের দেশগুলোতে তীব্র গরম পড়ছে। শীতকালে শীত পড়ছে আগের তুলনায় বেশি। বরফের পাহাড় গলে যাচ্ছে আন্টার্টিকায়। দাবানলে পুড়ছে আমেরিকার বনভূমি। প্রকৃতি উল্টো-পাল্টা হয়ে গেছে। বদলে গেছে বহু কিছু।

এ বছরের গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরম পড়েছিল। মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। জীবজগৎ বিপর্যস্ত। আবহাওয়াবিদরা বলেছিলেন, বর্ষায় প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। ক’দিন আগে তাই হলো। ভোররাত থেকে বৃষ্টি। সকাল দশটা এগারোটা পর্যস্ত থামার নাম নেই। আকাশ অন্ধকার হয়ে আছে। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ছায়াময় পরিবেশ। আমি একটু বেলা করে উঠেছি। মধ্যমাত্রার বৃষ্টি তখনও ঝরছে। দুপুর নাগাদ টেলিভিশন আর অনলাইনগুলো দেখে হতভম্ব হয়ে গেলাম। ঢাকা শহরের বহু এলাকা বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। রিকশার পাদানিতে উঠে গেছে পানি। বাসের চাকা ডুবে গেছে। প্রাইভেটকার ডুবে গেছে, জেগে আছে শুধু গাড়ির ছাদটুকু। নিউমার্কেট আর কাঁটাবন এলাকার দোকানপাটের ভিতর কোমর পানি। ছোট আর মাঝারি ব্যবসায়ীরা পড়ে গেছেন ব্যাপক সংকটে। দোকানের মালামাল রক্ষা করতে পারেননি। সব ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে।

অন্যদিকে মানুষের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। কর্মস্থলে যাওয়া মানুষ, বাড়ি ফেরার মানুষ, ছাত্র-ছাত্রী প্রত্যেকেই পড়েছে চরম দুর্ভোগে। গাড়ি চলছে না। হেঁটে বাড়ি ফিরছে মানুষ। তাদের কোমরের ওপর পর্যন্ত পানি। পুরান ঢাকার অলিগলি রাজপথ ডুবে গেছে। ঘরে ঢুকে গেছে পানি। মানুষ দিশেহারা। এ অবস্থা কেমন করে সামাল দেবে? এক বেলার বৃষ্টিতে জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত। অথচ কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে ঢাকা শহরের পানি নিষ্কাশনের জন্য। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। বৃষ্টি হলেই ডুবছে রাস্তাঘাট। বিপাকে পড়ছে মানুষ। আবহাওয়াবিদদের সাবধানতা বা ভবিষ্যদ্বাণী সিটি করপোরেশন দুটো সেভাবে মনে রাখেনি। মনে রেখে আগাম ব্যবস্থা নিলে শহরবাসী এরকম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ত না। এই বিষয়ে দুই মেয়রের তীক্ষ্ণ নজর থাকা জরুরি ছিল। ঢাকার খালগুলো প্রায় সবই বুজে গেছে। দখল হয়ে গেছে। সবই আছে খালগুলোতে, শুধু পানিটাই নেই। পানির প্রবাহ বলতে কিছু নেই। ময়লা আবর্জনার ভাগাড় হয়ে গেছে একেকটা খাল। মেয়র মহোদয়দের দেখি, প্রায়ই খাল উদ্ধারের অভিযান করছেন। দু-একটা খাল দখল মুক্তও করছেন। তারপর আর খবর নেই। আগের মতো দখল হয়ে যাচ্ছে। আরেক মহাশত্রু হয়েছে পলিথিন। এই জিনিসের কোনও বিনাশ নেই। শুধুমাত্র পলিথিনই ডুবিয়ে দিচ্ছে অনেক অর্জন। এই বিষয়টি নিয়ে সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের সচেতন হওয়া জরুরি। পলিথিনের হাত থেকে বাঁচাতে হবে দেশ। পলিথিনের বিকল্প ব্যবস্থা কাজে লাগাতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার ও মিডিয়া মিলে জনসচেতনা গড়ে তোলা জরুরি। মানুষ সচেতন হলে সমাজ পরিশিলিত হয়। গত তিরিশ পঁয়ত্রিশ বছর ধরে ধীরে ধীরে গড়ে উঠছিল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা। এখন বসুন্ধরা ঢাকার সবচাইতে অভিজাত এলাকা। সবচাইতে আকর্ষণীয় এলাকা। বসুন্ধরায় কারও একটি ফ্ল্যাট বা কারও এক টুকরো জমি থাকলে তিনি খুব গৌরববোধ করেন। বসুন্ধরার মতো সুবিন্যস্ত আবাসিক এলাকা ঢাকায় আর নেই। এলাকাটির পরিকল্পনা করা হয়েছে সম্পূর্ণতই ইউরোপ-আমেরিকার ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলোর লাগোয়া অতি আধুনিক আবাসিক শহরগুলোর মতো করে। সুপরিকল্পিত ও সুব্যবস্থাপূর্ণ। বড় বড় রাস্তা। রাস্তার ধার আর আইল্যান্ডগুলো সবুজ গাছপালায় ভর্তি। রাজউকের বিল্ডিংকোড মেনে নির্মিত প্রতিটি বাড়ি। সঙ্গে আছে বসুন্ধরার নিজস্ব কঠোর তদারকি। নিয়মের বাইরে একটি ইটও বসানো যাবে না। একটি গাছের পাতাও ছেঁড়া যাবে না। অন্যদিকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুরুষমানুষরা তো বটেই, নারী ও শিশুরা চাইলেও রাত দুপুরে বাড়ির বাইরে বেড়াতে বেরোতে পারে। ডিস্টার্ব করা তো দূরের কথা, চোখ তুলেও তাকাবার সাহস পাবে না কেউ। নিরাপত্তায় নিয়োজিত গাড়িভর্তি কর্মী চব্বিশঘণ্টা টহল দিচ্ছে। ঢাকার ভিতরেই বসুন্ধরা সম্পূর্ণ এক আলাদা জগৎ। স্বপ্নের বাসভূমি। এটা সম্ভব হয়েছে সুপরিকল্পনা ও তা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন আর প্রয়োগের ফলে। গত কয়েক বছর আগে বর্ষার বৃষ্টিতে বসুন্ধরার কোথাও কোথাও পানি জমে যেত। এই নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন কর্তৃপক্ষ। সুদূর প্রসারী আধুনিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে রাতারাতি সামাল দিলেন সেই সমস্যা। গড়ে তুললেন অত্যাধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা। যত বৃষ্টিই হোক, বসুন্ধরায় এখন আর পানি জমে না। জোরালো ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে বৃষ্টির পানি এক মিনিটও দাঁড়াতে পারে না। সঙ্গে আছে এলাকার ড্রেনগুলোর সঠিক তদারকি। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বহুকর্মী নিয়োজিত এই কাজে। কী নেই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়? হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, খেলার মাঠ, শপিং মল, সুন্দর সুন্দর মসজিদ, গোরস্থান, অতি আধুনিক সব রেস্টুরেন্ট। এক কথায় সব মিলিয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা বর্তমান বিশ্বের অতি আধুনিক এক মনোরম শহর। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা নিয়ে কথাগুলো বলার কারণ, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র মহোদয়দের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। বসুন্ধরায় ড্রেনেজ ব্যবস্থার অনুকরণ করে তাঁরা খুব সহজেই হঠাৎ বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ হয়ে যাওয়া ঢাকা শহরকে অনেকখানি মুক্তি দিতে পারেন। মানুষকে দুর্ভোগ মুক্ত করতে পারেন, ব্যবসায়ীদের বাঁচাতে পারেন ক্ষতির হাত থেকে। ছাত্র-ছাত্রী আর পথচলা মানুষদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে পারেন। বৃষ্টির তোড়ে হঠাৎ অসহায় হয়ে পড়া গৃহবাসীদের সুরক্ষা দিতে পারেন। এই শহরের মানুষকে স্বস্তিতে বসবাস করার সুযোগ করে দিতে পারেন। এসব তাঁদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে নিশ্চয় তাঁরা ভাববেন। তাঁদের চোখের সামনেই তো উদাহরণ হিসেবে আছে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা।

পরবর্তী খবর

নওগাঁর ধামইরহাটে পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

নওগাঁর ধামইরহাটে পুকুরের পানিতে ডুবে যমজ দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৭ জুলাই) দুপুর ১২টায় উপজেলার খেলনা ইউনিয়নের পশ্চিম চকভবানী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সালাম।

নিতহ দুই শিশু– লক্ষণ (৩) ও রাম (৩)। তারা উভয়ে একই গ্রামের সুজিত ওরাওঁ-এর যমজ সন্তান।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সালাম বলেন, সকালের খাবার খেয়ে ওই দুই ভাই বাড়ির পাশে খেলতে থাকে। খেলার একপর্যায়ে সবার অগোচরে দুই ভাই বাড়ির সামনে পুকুরে ডুবে যায়। পরে তাদের খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে দুজনের লাশ পুকুরে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা।

যমজ দুই ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুতে পরিবারের সদস্য এবং প্রতিবেশীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ধামইরহাট থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বাহাউদ্দিন ফারুকী বলেন, দুই শিশু পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খেলতে গিয়েই তারা পানিতে ডুবে মারা গেছে। এ বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ করা হয়নি।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত