শিক্ষা

শিক্ষা

তৃষ্ণার্থ ভর্তিচ্ছুর পাশে ববি উপাচার্য

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) কেন্দ্রে গুচ্ছের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের (স্মাতক) ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রচণ্ড দাবদাহে সেখানে দেখা যায় ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।এই কেন্দ্রে চার হাজার লিটার সুপেয় পানি ও দুই হাজার খাবার স্যালাইনের ব্যবস্থা করা হয়। এমনকি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া নিজে পরীক্ষার্থীদের হাতে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন তুলে দেন।

বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বেশ প্রশংসা করছেন। এছাড়া পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ ভর্তিচ্ছু কাজে সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য খাবার পানি ও স্যালাইনের ব্যবস্থা করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন।এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন থেকেও পরীক্ষার্থীদের সহায়তা হেল্প ডেস্ক বসানো হয়। শনিবার (২৭ এপ্রিল) ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রে এসব চিত্র দেখা গেছে।

কয়েকজন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা জানান, প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে আমাদের স্বপ্ন পূরণ করতে এসেছি। পরীক্ষা দিতে এসে দেখি খাবারের পানি ও স্যালাইনের ব্যবস্থা করা যেটি সত্যি আমাদের কাছে ভালো লেগেছে।

ঝালকাঠি থেকে এক অভিভাবক জানান, প্রচণ্ড গরমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করেছেন। অনেক স্বেচ্ছাসেবী বা জেলা সংগঠনগুলোও আমাদের সহযোগিতা করেছেন। এমন উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানান, বর্তমানে তাপমাত্রা যে পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে পরীক্ষার্থীদের কষ্ট হয় আমরা বুঝি। বরিশালের মেয়র মহোদয়ের আন্তরিক চেষ্টায় তাদের জন্য বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তৃষ্ণার্ত পরীক্ষার্থীরা যদি একটু স্বস্তি পায়, তাতেই আমাদের ভালোলাগা কাজ করবে।

প্রসঙ্গত, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা নিতে সকল ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে আজ বিজ্ঞান শাখায় অর্থাৎ ‘ক’ শাখায় বরিশাল কেন্দ্রে ৫ হাজার ৩৩৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। বেলা ১২টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পরীক্ষার হল পরিদর্শন করেন।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের ৯ নির্দেশনা

শিক্ষার্থীদের সংঘাত ও অপ্রাসঙ্গিক কার্যক্রম থেকে দূরে রাখতে এবং তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা শিক্ষাসংক্রান্ত নয় এমন বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশ নিচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি অভিভাবকদের মধ্যেও উদ্বেগ বাড়ছে।

এ পরিস্থিতি এড়াতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষামুখী রাখার জন্য বিভিন্ন কো-কারিকুলার কার্যক্রম বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে ৯টি কার্যক্রমের একটি নমুনা তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত ৯টি কার্যক্রম :
১. আঙিনা পরিচ্ছন্নতা অভিযান : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্যোগ।
২. বিজয়ের ৩৬ জুলাই ভিত্তিক গ্রাফিতি : নির্বাচিত গ্রাফিতি নিয়ে সফট অ্যালবাম তৈরি এবং শ্রেষ্ঠ গ্রাফিতি পুরস্কার প্রদান।
৩. থিম সং পরিবেশনা : ‘ক্রান্তিকালে তারুণ্য দুর্জয়’ থিমে গান তৈরি, পরিবেশনা, সফট অ্যালবাম তৈরি ও প্রতিযোগিতার আয়োজন।
৪. পারসোনাল হাইজিন প্রশিক্ষণ : গার্লস স্কুল ও কলেজে মেয়েদের জন্য ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ।
৫. জাতীয় দিবসে আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ : বিএনসিসি, স্কাউট ও রোভার স্কাউটের সহায়তায় কুচকাওয়াজের আয়োজন।
৬. প্রকৃতি দর্শন : শিক্ষার্থীদের জন্য নিকটবর্তী নান্দনিক স্থান যেমন নদীতীর, চর, উপকূল বা পাহাড় ভ্রমণের আয়োজন।
৭. ক্রীড়া প্রতিযোগিতা : ক্রিকেট, ফুটবল ও ভলিবল টুর্নামেন্টের আয়োজন।
৮. জেন-জি উদ্যোক্তা বিতর্ক প্রতিযোগিতা : তরুণ উদ্যোক্তা কর্মী তৈরির লক্ষ্যে বিতর্ক প্রতিযোগিতা।
৯. জুলাই বিপ্লব বিষয়ক আলোচনা সভা : ‘জুলাই বিপ্লব কী, কেন, কিভাবে’ বিষয়ে ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকদের আলোচনার আয়োজন।

অভিভাবকদের সম্পৃক্ত করার আহ্বান
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অভিভাবকদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে শ্রেণিকক্ষ কার্যক্রম ও কো-কারিকুলার কার্যক্রমকে জোরদার করতে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় মনে করে, এসব কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতাকে উজ্জীবিত করবে এবং শিক্ষার পরিবেশ উন্নত করবে।

পরবর্তী খবর

ঈদের ছুটি শেষে খুলছে মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়

ঈদুল আযহার ছুটি শেষে রবিবার খুলছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরমেবি)।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, রবিবার থেকে যথারীতি একাডেমিক এবং দাপ্তরিক সব কাজ চলমান থাকবে।

এরই মাঝে দীর্ঘ যানজট উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে ফিরতে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, গত ১২ জুন থেকে ২২ জুন মোট ১০ দিন ঈদুল আযহার ছুটি পায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত