দেশ, নির্বাচন

দেশ, নির্বাচন

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

প্রথমবারেই বাজিমাত করলেন শার্শার সালমা

জীবনের প্রথম নির্বাচনে এসেই বাজিমাত করলেন শার্শার নব নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা খাতুন সালমা।

২য় ধাপের ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে যশোরের ৩টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

গত ২১শে মে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিতব নির্বাচনে যশোরের তিনটি উপজেলা শার্শা. ঝিকরগাছা. চৌগাছা উপজেলা নির্বাচনে অন্য দুটি উপজেলার প্রার্থীকে টপকে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জীবনের প্রথম নির্বাচনে অংশ নিয়ে শার্শা উপজেলার শামীমা খাতুন সালমা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার প্রতীক ছিল কলস।

তিনি ৪২ হাজার ৬২৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন আলেয়া ফেরদৌস হাঁস প্রতীকে ৭ হাজার ৭২৯ ও নাজমুন নাহার ফুটবল প্রতীকে ৫ হাজার ১৬১ ভোট পান।

এছাড়া পার্শ্ববর্তী ঝিকরগাছা উপজেলার জেসমিন সুলতানা কলস প্রতীকে ২৪ হাজার ৪৬৭ ভোট পেয়ে ২য় বারের মত ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ও চৌগাছা উপজেলা যুব মহিলা লীগের সম্পাদক নাসিমা খাতুন হাঁস প্রতীকে ২৬ হাজার ৬০ ভোট পেয়ে প্রথম বারের মত ঐ উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

এদিকে শামীমা খাতুন সালমার প্রাপ্ত ভোট তিন উপজেলার সর্বোচ্চ সংখ্যক। এমনকি তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীরাও তার সমান বা তারচেয়ে বেশি ভোট পাননি। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের পরিসংখানে দেখা যায় ঝিকরগাছা উপজেলার মনিরুল ইসলাম আনারস প্রতীকে ৪০ হাজার ৬৪৩, শার্শার সোহারাব হোসেন দোয়াত কলম প্রতীকে ৩৭ হাজার ৫৭০ ও চৌগাছার এস এম হাবিব ৩৩ হাজার ৫৬৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সালমা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হয়ে তাদের ভোটের সংখ্যাকেও ছাপিয়ে গেছেন। ফলে বলা বাহুল‍্য সর্বোচ্চ ভোটের মালিক তিনি এবং প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিয়েই বাজিমত করলেন। উল্লিখিত উপজেলা গুলোতে এই প্রথম ইভিএমে ভোট অনুষ্ঠিত হয়।

সালমা খাতুনের এই বিজয়ে উল্লসিত তার কর্মী-সমর্থক বেনাপোলসহ শার্শা উপজেলাবাসী।

বেনাপোল পৌরসভার সাবেক প‍্যানেল মেয়র, গুম হত‍্যার শিকার তরিকুল আলম তুহিনের সহধর্মিনী ও যশোর জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা খাতুন সালমা। নির্বাচনী এই সাফল্যে উজ্জীবিত এলাকাবাসী ও সালমা। ফল ঘোষণার পর তিনি বলেন, আমার মরহুম স্বামীর রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করব ও উপজেলাবাসীর পাশে থেকে তাদের সেবা এবং আমার সংগঠন যুব মহিলা লীগকে আরও গতিশীল করব। তিনি সকলের কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।

পরবর্তী খবর

৫০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার

সীমান্ত সম্ভারে স্বর্ণের দোকানে চাঞ্চল্যকর চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৩

রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।

মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

পোরশায় ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস, কেনা যাবে ২৫০ গ্রাম

চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।

বিষয়:
সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত