দেশ

দেশ

শার্শায় খাদ্যভিত্তিক পুষ্টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ 

বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান)-এর কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণ প্রকল্প (বারটান অঙ্গ) মাধ্যমে ফলিত পুষ্টি বিষয়ক কর্মশালায় ৬০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

বারটান প্রধান কার্যালয় নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার তত্ত্বাবধানে ও যশোরের শার্শা উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় প্রশিক্ষণটি গত ২৭ মে থেকে শুরু হয়ে ২৯ মে শেষ হয়।

খাদ্য ভিত্তিক পুষ্টি (ফলিত পুষ্টি) বিষয়ক ৩ দিন ব্যাপী এ প্রশিক্ষণ প্রদান করেন বারটানের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওমর ফারুক এবং সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ সোহাগ মিয়া ও সহকারী প্রশিক্ষক মোঃ অহিদুল ইসলাম।

প্রশিক্ষণে পুষ্টি, ফলিত পুষ্টি, প্রতিদিনের সুষম খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ, সঠিক খাদ্য গ্রহণ ও রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি, সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গাণু সুমহ রক্ষা, শিশু, কিশোর-কিশোরী, গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের পুষ্টি, পুষ্টিমান বজায় রেখে খাবারের সঠিক রন্ধন প্রক্রিয়া, অপুষ্টিজনিত রোগ সমূহ ও তার প্রতিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এছাড়াও প্রশিক্ষণে প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রশিক্ষণের বিষয় সম্পর্কিত নাটিকা, এনিমেশন ও ছবি প্রদর্শন করে শিখানো হয়।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অতিথি প্রশিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন শার্শা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা। এছাড়াও প্রশিক্ষণ প্রদান করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা, সমাজসেবা কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বৃন্দ। প্রশিক্ষণে দুটি ব্যাচে ৩০ জন কৃষাণ-কৃষাণী এবং ৩০ জন উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা, শিক্ষক, ইমাম, এনজিও কর্মকর্তা অন্যান্য পেশাজীবির মোট ৬০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন।

পরবর্তী খবর

৫০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার

সীমান্ত সম্ভারে স্বর্ণের দোকানে চাঞ্চল্যকর চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৩

রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।

মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

পোরশায় ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস, কেনা যাবে ২৫০ গ্রাম

চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।

বিষয়:
সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত