চট্টগ্রামের একটি আদালতের কাঠগড়া থেকে বিচারককে জুতা নিক্ষেপ করেছে এক আসামি। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ওই ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মেজবাহ উদ্দিন দেশ রুপান্তরকে জানান, দুপুর ১২টার দিকে একটি মামলার শুনানির জন্য এজলাসে বসেন বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবীর।
এ সময় আসামির গারদে (কাঠগড়া) উপস্থিত থাকা আসামি মনির খান বিচারকের উদ্দেশ্যে পর পর দুটি জুতা নিক্ষেপ করেন। জুতা বিচারকের গায়ে পড়েছে বলেও জানান পিপি মিজবাহ।
ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে যান বিচারক। এ সময় আদালতে পিপি মেজবাহ উদ্দিনসহ একাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
এদিকে এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে নগরের কোতায়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন পিপি মেজবাহ উদ্দিন।
আদালত সূত্র জানা যায়, বিচারককে জুতা নিক্ষেপকারী আসামির নাম মো. মনির খান ওরফে মাইকেল (৩২)। তিনি ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নাসির নগর থানার গোকর্ন গ্রামের গোলাপ খাঁ’র ছেলে।
২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন করে দুটি ভিডিও লাইভ শেয়ার করেন নাসির। ওই ভিডিওতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও বাংলাদেশ পুলিশসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে কটুক্তি করার পাশাপাশি তাদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
পরে এ ঘটনায় তাকে আটক করে তার বিরুদ্ধে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নাসির নগর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন নাসির নগর থানার এসআই তপু সাহা। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২০ জুন মনির খান ওরফে মাইকেলকে অভিযুক্ত করে সাইবার ট্রাইব্যুনালে চার্জশিট জমা দেন নাসির নগর থানার ওসি (তদন্ত) আ স ম অতিকুর রহমান।
এদিকে এ ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ হন রাষ্ট্রপক্ষের ওই মামলা পরিচালনাকারী পিপি মেজবাহ উদ্দিন। তিনি ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর পর মামলা পরিচালনার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবীরের কাছে তাৎক্ষণিক ক্ষমা প্রার্থনা করেন
রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।
চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।