ডেমক্রেসি ওয়াচের উদ্যোগে মঙ্গলবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা পর্যায়ে প্রকল্প অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় এ অবহিত করণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, সরকারের সহযোগী হিসেবে প্রান্তিক জনগণের উন্নয়নের জন্য এনজিও’র সহযোগিতা দরকার, বিশেষ করে যুবদের অন্তর্ভুক্ত করে সমাজ পরিবর্তনের কাজে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে এ প্রকল্পে সকল সহযোগিতা থাকবে। যুবদের সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার ব্যাপারে ডেমক্রেসি ওয়াচের আস্থা প্রকল্প যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং সরকারের সাথে সমন্বয় করে যুবনীতি ২০১৭ বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে যে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে তা অবশ্যই যুবদের মেধা বিকাশ এবং সাবলম্বী হওয়ার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে।
সভায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা যুবদের বিভিন্ন সময়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ গ্রহণ করি।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় পর্যায়ের তরুণদের ফোরামের সাথে আন্তঃসম্পর্ক গড়ে তুললেই তাদের অধিকার বাস্তবায়ন আরো সহজতর হবে।
ডেমক্রেসি ওয়াচের নির্বাহী পরিচালক জনাব সানজিদা লিপি সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন। তিনি সংস্থার পরিচিতি এবং আস্থা প্রকল্প যে যুবদের সংগঠিত করে কাজ করবে সে বিষয়ে এবং যুবদের নিজের অধিকার ও দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন, সকল এনজিও ও প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন করতে হবে। সময় হয়েছে যুবদের সঠিক দিক নির্দেশনা দেওয়ার।
আস্থা প্রকল্পের লক্ষ্য উদ্দেশ্য এবং কার্যক্রম বাস্তবায়নের উপর পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন ক্লাস্টার কো-অর্ডিনেটর এসএএম মহিউদ্দিন মঈন। জেলা সমন্বয়কারী মোঃ রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিডি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, ডিডি সমাজসেবা, ডিডি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, অ্যাডভোকেট, প্যানেল মেয়র-৩, অধ্যক্ষ, প্রভাষক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) আহমেদ মাহাবুব -উল- ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেশে সকল স্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করে দেশের কাজে আত্মনিয়োগ করতে সাহায্য করবে এই প্রকল্প। যুবনীতি বাস্তবায়ন সময়ের দাবি।
সুইজারল্যান্ডের আর্থিক সহায়তায় ডেমক্রেসিওয়াচ, রূপান্তর, স্বাবলম্বী উন্নয়ন সংস্থা, আশিকা, তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা, গ্রাম উন্নয়ন সংস্থা বাংলাদেশের সাত বিভাগের ১৮টি জেলায় ১৪৭টি উপজেলায় আস্থা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।
চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।