গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) র্যাব-১০ এর মিডিয়া সেল থেকে প্রাপ্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র্যাব-১০ এর ৫টি ভিন্ন ভিন্ন অভিযানে মোট ছয় জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অভিযান ১ :
গত ২৩ জানুয়ারি দুপুরে র্যাব-১০ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং র্যাব-৭ এর সহযোগিতায় চট্টগ্রাম মহানগরীর পাচলাইশ থানাধীন হামজারবাগ এলাকায় একটি যৌথ অভিযানে রাজধানী ঢাকার কদমতলী থানার মামলা নং-৭৬(০১)২১, ধারা-২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) এর ১০(গ); মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সাজা ওয়ারেন্টভুক্ত ২ বছর যাবৎ পলাতক আসামি ওসমান গনি (৪৫), পিতা-আব্দুল জব্বার, সাং-গোলদিঘীর উত্তর পাড়, থানা-কক্সবাজার, জেলা-কক্সবাজারকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি উল্লেখিত মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বলে স্বীকার করেছে। সে মামলার পর হতে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
অভিযান ২ :
গত ২৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় র্যাব-১০ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী এলাকায় একটি অভিযান চালিয়ে মাগুরা থানার মামলা নং-৩৪, তারিখ : ১৩/০৯/২০০৯, জিআর নং-৪৭৩/০৯, ধারা-১৯ (১) টেবিল ৩(ক)/১৯(৪) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯০; মামলায় ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত সাজা ওয়ারেন্টভুক্ত দীর্ঘদিন পলাতক আসামি মোঃ জীবন মিয়া (৩৫), পিতা-মৃত ইদু মিয়া, সাং-নবাব কাটরা, থানা-বংশাল, ঢাকাকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি উল্লেখিত মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বলে স্বীকার করেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
অভিযান ৩ :
গত ২৪ জানুয়ারি সকালে র্যাব-১০ এর অপর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার মুগদা এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ২,১০,০০০/- (দুই লক্ষ দশ হাজার) টাকা সমমূল্যের জাল নোটসহ জাল টাকা সরবরাহকারী চক্রের ১ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম মোঃ ওসমান গনি (২০), পিতা-মোঃ আব্দুল কাদের, সাং-তেলিপাড়া, থানা-পঞ্চগড় সদর, জেলা-পঞ্চগড় বলে জানা যায়। এসময় তার নিকট থেকে ১০০০ টাকা সমমূল্যের ২০০টি, ৫০০ টাকা সমমূল্যের ১২টি, ২০০ টাকা সমমূল্যের ১০টি এবং ২০ টাকা সমমূল্যের ১০০টি সর্বমোট ২,১০,০০০/- (দুই লক্ষ দশ হাজার) টাকা সমমূল্যের জাল নোট, ১৮টি মানিব্যাগ ও নগদ-২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা উদ্ধার করা হয়।
এদিকে গতকাল, র্যাব-১০ এর একই দল বিকালে গাজীপুর জেলার টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন গাজীপুড়া এলাকায় অপর একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ৩,০১,০০০/- (তিন লক্ষ এক হাজার) টাকা সমমূল্যের জাল নোটসহ জাল টাকা সরবরাহকারী চক্রের ১ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম মোঃ মোফাজ্জল হোসেন অপু (২৩), পিতা-আমীর হোসেন, সাং-গাজীপুরা, থানা-টঙ্গী পূর্ব, জেলা-গাজীপুর বলে জানা যায়। এসময় তার নিকট থেকে ১০০০ টাকা সমমূল্যের ২৯৬টি এবং ৫০০ টাকা সমমূল্যের ১০টি সর্বমোট ৩,০১,০০০/- (তিন লক্ষ এক হাজার) টাকা সমমূল্যের জাল নোট ও নগদ-৯,০০০/- (নয় হাজার) টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা জাল টাকা সরবরাহকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা বেশ কিছুদিন যাবৎ অধিক লাভের আশায় এই জাল টাকা সংগ্রহ করে গরুর হাটসহ বিভিন্ন বাজার এবং জনসাধারণের নিকট সরবরাহ করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
অভিযান ৪ :
গত ২৪ জানুয়ারি বিকালে র্যাব-১০ এর আরও একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার বাড্ডা থানাধীন আফতাবনগর এলাকায় একটি অভিযান চালিয়ে পটুয়াখালী জেলার দশমিনা থানার মামলা নং-০২/০২, তারিখ-১৬/০১/২০২৪ খ্রি.; ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ৯(১); ধর্ষণ মামলায় পলাতক প্রধান আসামি ধর্ষক মোঃ রাকিব মোল্লা (২৪), পিতা-শহিদুল মোল্লা, সাং-পূর্ব আলীপুরা, থানা-দশমিনা, জেলা-পটুয়াখালীকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেফতারকৃত আসামি উক্ত ধর্ষণের সাথে তার সম্পৃক্ততার সত্যতা স্বীকার করেছে। সে মামলা রুজুর পর থেকে রাজধানীর বাড্ডাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
অভিযান ৫ :
গত ২৪ জানুয়ারি রাতে র্যাব-১০ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় আরও একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে সিলেট জেলার জালালাবাদ থানার মামলা নং-১০(০৩)২১, ধারা-৩৯৫/৩৯৭ দণ্ডবিধি ১৮৬০; বিশ্বনাথ থানার মামলা নং-০২(১০)১৭, ধারা-১৯৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯-এ এবং বালাগঞ্জ থানার মামলা নং-০১(০১)১৮, দায়রা-৫৫৭/২০৫, জিআর-৪৯/১৪, ধারা-৩৯৫/৩৯৭ দণ্ডবিধি ১৮৬০; ডাকাতি ও অস্ত্রসহ একাধিক মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক আসামি সুফি মিয়া (৩৯), পিতা-মৃত ইদ্রিস আলী, সাং-নওধার পূর্বপাড়া, থানা-বিশ্বনাথ, জেলা-সিলেটকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেফতারকৃত আসামি উপরোক্ত মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি বলে স্বীকার করেছে। সে মামলা রুজুর পর বিভিন্ন সময় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। পরবর্তীতে জামিনে বের হয়ে আত্মগোপন করে দীর্ঘদিন যাবৎ রাজধানীর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে ছিল বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।
চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।