দেশ

দেশ

ইছাপুরা বিদ্যালয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার একমাত্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ঐতিহ্যবাহী ইছাপুরা সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।


সকাল ৮টায় পতাকা উত্তোলন এবং প্রাত্যাহিক সমাবেশের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠান চলে দিনব্যাপী। মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের নবনির্বাচিত এমপি আলহাজ্ব মহিউদ্দিন আহমেদ পতাকা উত্তোলন করেন। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর তার উদ্বোধন ঘোষণার মাধ্যমে শুরু হয় ছাত্রছাত্রীদের বহুল আকাঙ্খিত ক্রীড়া অনুষ্ঠান। ছাত্রছাত্রীদের পুরো ক্রীড়াযজ্ঞ পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক আনিস শাহরিয়ার। তাকে সহযোগিতা করেন আরো কয়েকজন শিক্ষক।

ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন শাখায় কয়েকটি ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শন শেষে শুরু হয় পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাব্বির আহম্মেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মহিউদ্দিন আহম্মেদ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইছাপুরা সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন হাওলাদার, ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুমন মিয়া, মালখানগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঞ্জুরুল আলম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক চর্চা শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়ক। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলা করা প্রয়োজন। বিক্রমপুরের মধ্যে অন্যতম সম্ভাবনার অঞ্চল এই সিরাজদিখান। সবার মাঝে সম্প্রীতির ভাব গড়ে তুলে এ অঞ্চলকে আরও সমৃদ্ধিশালী করতে হবে।

পরে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ জামাল হোসেন মিঞা।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

৫০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার

সীমান্ত সম্ভারে স্বর্ণের দোকানে চাঞ্চল্যকর চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৩

রাজধানীর ধানমণ্ডির বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের একটি স্বর্ণের দোকানে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রুবেল (২৮), সফিক ওরফে সোহেল (৩৫) এবং সাদ্দাম হোসেন (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, ধানমণ্ডি মডেল থানাধীন ‘ক্রাউন ডায়মন্ড এন্ড জুয়েলার্স’ শোরুমে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরচক্র অভিনব পদ্ধতিতে শো-রুমের তালা ও সাটার কেটে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকানের মালিক কাজী আকাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।

মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি থেকে ডিবি পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালায়। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে প্রথমে মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে সফিক ওরফে সোহেল এবং মুরাদনগর থেকে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা আসল স্বর্ণ এবং ২১ ভরি ১০ আনা গলিত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম জানান, এই চক্র অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে চুরি সংঘটিত করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

পোরশায় ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস, কেনা যাবে ২৫০ গ্রাম

চড়া দামের কারণে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ পুরো এক কেজি মাংস কিনতে পারছে না। এমন ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার ২৫০ গ্রাম গরুর মাংসও বিক্রি হবে নওগাঁর পোরশায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ই ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আদনান।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে ইউ এন ও আরিফ আদনান বলেন, জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ন্যায্য মূল্যের মাংসের দোকান চালু করা হয়েছে । এই দোকানে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ক্রেতাগণ কিনতে পারবেন এবং গরিব জনগণ ২৫০ গ্রাম থেকে গরুর মাংস কিনতে পারবেন বলে জানান ইউ এন ওআরিফ আদনান।

বিষয়:
সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত