বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্প্রিং- ২০২৪ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠান শনিবার (২৭ জানুয়ারি) ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের এ নবীনবরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরাই মূখ্য তাই অনুষ্ঠানে প্রথাগতভাবে কোন প্রধান অতিথি রাখা হয়নি। তবে অতিথি হয়ে এসেছিলেন বিশিষ্ট নাট্যকার, অভিনেতা ও লেখক বৃন্দাবন দাস, অভিনেত্রী শাহনাজ খুশী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা অনুষদের সহকারি অধ্যাপক তামান্না রহমান ও দিব্য জ্যোতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের এলমনাই বিটিআরসি’র উর্ধ্বতন সহকারী পরিচালক তৌসিফ শাহরিয়ার ও প্রথম আলোর সিনিয়র ফটোজার্নালিস্ট সাবিনা ইয়াসমিন ।
অনুষ্ঠানে নবীনদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান।
অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা যে আশা ও ভরসার জায়গা থেকে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিকে আপনাদের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষার জন্য পছন্দ করেছেন তা যথার্থ দায়িত্বশীলতা ও আন্তরিকতার সাথে আমরা গ্রহণ করেছি। এই আস্থা এবং বিশ্বাস অক্ষুন্ন রেখে নতুনদের মানবিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা এখন আমাদের প্রধান গুরুত্বের বিষয়।
সকাল থেকেই আনন্দমুখর পরিবেশে সদ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পা দেয়া শিক্ষার্থীরা পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে বিচরণ করে। তাদের উল্লাসে ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটির গ্রিন ক্যাম্পাস যেন আলোড়িত হয় এক নতুন রঙে, নতুনত্বের স্বাদে। ‘ওরিয়েন্টশন প্রোগ্রাম স্প্রিং -২০২৪’ অনুষ্ঠানে নবীনরা নেচে গেয়ে আনন্দমুখর পরিবেশে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সূচনা করে।
আয়োজনে শুরুতে স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক ড. সৈয়দ মিজানুর রহমান রাজু নবীনদের অনুষ্ঠানটি পরিচালনায় উৎসাহ দেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় জীবন সম্পর্কে নবীন শিক্ষার্থীদের সাথে কুশলাদি বিনিময় করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মাবলী সম্পর্কেও ধারণা প্রদান করা হয়। অতিথিগণ তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে নবীনদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন এবং ‘লার্ন এন্ড উইন’ কুইজ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদেও হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিবিজ্ঞান বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী নাবিলা ইসলাম এবং পুষ্টি ও খাদ্য প্রকৌশল বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী মোবাশ্বেরা ইসলাম মিথি’র যৌথ উপস্থাপনায় ও নবীন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক আয়োজনের মাধ্যমে চমৎকার এ আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে।
পরে নবীন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ”SKILL” শীর্ষক মানব লগো তৈরি করা হয়।
শিক্ষার্থীদের সংঘাত ও অপ্রাসঙ্গিক কার্যক্রম থেকে দূরে রাখতে এবং তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা শিক্ষাসংক্রান্ত নয় এমন বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশ নিচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি অভিভাবকদের মধ্যেও উদ্বেগ বাড়ছে।
এ পরিস্থিতি এড়াতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষামুখী রাখার জন্য বিভিন্ন কো-কারিকুলার কার্যক্রম বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে ৯টি কার্যক্রমের একটি নমুনা তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত ৯টি কার্যক্রম :
১. আঙিনা পরিচ্ছন্নতা অভিযান : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্যোগ।
২. বিজয়ের ৩৬ জুলাই ভিত্তিক গ্রাফিতি : নির্বাচিত গ্রাফিতি নিয়ে সফট অ্যালবাম তৈরি এবং শ্রেষ্ঠ গ্রাফিতি পুরস্কার প্রদান।
৩. থিম সং পরিবেশনা : ‘ক্রান্তিকালে তারুণ্য দুর্জয়’ থিমে গান তৈরি, পরিবেশনা, সফট অ্যালবাম তৈরি ও প্রতিযোগিতার আয়োজন।
৪. পারসোনাল হাইজিন প্রশিক্ষণ : গার্লস স্কুল ও কলেজে মেয়েদের জন্য ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ।
৫. জাতীয় দিবসে আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ : বিএনসিসি, স্কাউট ও রোভার স্কাউটের সহায়তায় কুচকাওয়াজের আয়োজন।
৬. প্রকৃতি দর্শন : শিক্ষার্থীদের জন্য নিকটবর্তী নান্দনিক স্থান যেমন নদীতীর, চর, উপকূল বা পাহাড় ভ্রমণের আয়োজন।
৭. ক্রীড়া প্রতিযোগিতা : ক্রিকেট, ফুটবল ও ভলিবল টুর্নামেন্টের আয়োজন।
৮. জেন-জি উদ্যোক্তা বিতর্ক প্রতিযোগিতা : তরুণ উদ্যোক্তা কর্মী তৈরির লক্ষ্যে বিতর্ক প্রতিযোগিতা।
৯. জুলাই বিপ্লব বিষয়ক আলোচনা সভা : ‘জুলাই বিপ্লব কী, কেন, কিভাবে’ বিষয়ে ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকদের আলোচনার আয়োজন।
অভিভাবকদের সম্পৃক্ত করার আহ্বান
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অভিভাবকদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে শ্রেণিকক্ষ কার্যক্রম ও কো-কারিকুলার কার্যক্রমকে জোরদার করতে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় মনে করে, এসব কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতাকে উজ্জীবিত করবে এবং শিক্ষার পরিবেশ উন্নত করবে।
ঈদুল আযহার ছুটি শেষে রবিবার খুলছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরমেবি)।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, রবিবার থেকে যথারীতি একাডেমিক এবং দাপ্তরিক সব কাজ চলমান থাকবে।
এরই মাঝে দীর্ঘ যানজট উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে ফিরতে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, গত ১২ জুন থেকে ২২ জুন মোট ১০ দিন ঈদুল আযহার ছুটি পায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।