জাতীয়

জাতীয়

স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে যা লিখলেন রাষ্ট্রপতি

গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পরমত সহিষ্ণুতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন সুসংহত করতে হবে এবং প্রত্যেক নাগরিককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অধিকতর দায়িত্বশীল ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পরিদর্শন বইয়ে এ মন্তব্য করে সই করেন তিনি।

তিনি লিখেছেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আমি দেশে ও প্রবাসে বসবাসরত সব বাংলাদেশিকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন। ঐতিহাসিক এ দিনে আমি পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

আমি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠন ও সমর্থক, বিদেশি বন্ধু এবং সর্বস্তরের জনগণকে, যারা আমাদের অধিকার আদায় ও মুক্তি সংগ্রামে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন। আমি পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি ১৫ আগস্ট কালরাতে খুনিদের বুলেটের আঘাতে শহীদ বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও বঙ্গবন্ধুর তিন পুত্রসহ সব শহীদকে। আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

রাষ্ট্রপতি আরও লিখেছেন, স্বাধীন-সার্বভৌম সোনার বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে অগ্রসরমান। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে এরই মধ্যে আমরা উন্নয়নশীল দেশের কাতারে অবস্থান করে নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ‘রূপকল্প ২০৪১’ অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে জনমুখী ও টেকসই উন্নয়ন, সুশাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পরমত সহিষ্ণুতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন সুসংহত করতে হবে। প্রত্যেক নাগরিককে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে অধিকতর দায়িত্বশীল ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনা বাংলা বিনিময়ে কার্যকর অবদান রাখতে আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে এবং উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে, প্রতিষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা – ইনশাআল্লাহ।

জয় বাংলা। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন

নির্বাহী আদেশে জামায়াতে ইসলামী ও এর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, সরকারের নির্বাহী আদেশে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারা অনুযায়ী জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির ও তাদের অন্যান্য অঙ্গ-সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর আগে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আইনি মতামত দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফাইল পাঠায় আইন মন্ত্রণালয়।

এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ১৪ দলের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়।

পরের দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাত মন্ত্রী, চার সচিব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকেও জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের বিষয়টি উঠে আসে। এ নিয়ে জামায়াতে ইসলামকে দ্বিতীয়বার নিষিদ্ধ করা হলো। এর আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করা এ দলকে ১৯৭২ সালে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের অপব্যবহারের’ কারণে। আর এবার দলটিকে নিষিদ্ধ করা হলো জন নিরাপত্তার জন্য হুমকি বিবেচনা করে।

পরবর্তী খবর

ঈদুল আজহা ১৭ই জুন

বাংলাদেশে আগামী ১৭ই জুন (সোমবার) পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হবে। বাংলাদেশের আকাশে শুক্রবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় ১৪৪৫ হিজরি সনের জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা থেকে এ তথ্য জানানো হয়। ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

হিজরি বর্ষপঞ্জি অনুসারে ১০ জিলহজ মুসলিমদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উদযাপন করা হয়। এদিন সারা দেশে মুসলমানরা মহান আল্লাহর অনুগ্রহের আশায় ঈদের জামাত শেষে পশু কোরবানি করেন।

এদিকে, সৌদি আরবের আকাশেও স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সেই হিসেবে আগামী ১৬ জুন (১০ জিলহজ) সৌদিতে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত