১৯৭৪ সালে সর্বপ্রথম মাসুদ রানা হয়ে ক্যামেরার সামনে আসেন সোহেল রানা। এরপর গেল বছর এই ভূমিকায় দেখা গেছে তরুণ নায়ক এবিএম সুমনকে; ‘এমআর-৯’ ছবিতে। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র মাসুদ রানা। কাজী আনোয়ার হোসেনের লেখা চার শতাধিক বই আবর্তিত হয়েছে এই চরিত্রকে ঘিরে। কালজয়ী সেই চরিত্র সিনেমার পর্দায়ও এসেছে।
এবার এই সিরিজের নতুন সিনেমা নিয়ে আসছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া। যেটার নাম ‘চিতা’। এটি নির্মিত হচ্ছে ‘অপারেশন চিতা’ গল্প অবলম্বনে। আর এতে সবাইকে অবাক করে দিয়ে মাসুদ রানা হচ্ছেন অনন্ত জলিল। গত বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মহরতের মাধ্যমে এমন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
মাসুদ রানা অপারেশন চিতা কাজী আনোয়ার হোসেন’এই চরিত্রে কাজ করা স্বপ্ন ছিল বলে জানালেন অনন্ত জলিল। তিনি বলেন, ‘মাসুদ রানা সিরিজে কাজ করা আমার নিজেরও স্বপ্ন ছিল। দেশে যখন থেকে কাজ করি, অনেকেই আমাকে বলত বাংলার জেমস বন্ড। এই যে ‘চিতা’ ছবিতে আমি কাজ করছি, এটা কিন্তু সাংবাদিকরাও জানতেন না। অথচ জাজের ঘোষণার পর থেকে ফেসবুকে অনেকেই কমেন্ট করেছে, বাংলার জেমস বন্ড অনন্ত জলিল। এজন্য আমি নিজেকে ধন্য মনে করি। প্রায় নাইন্টি ফাইভ পারসেন্ট কমেন্ট আমাকে নিয়ে করেছে।’
চিতা ছবিটি পরিচালনা করবেন কলকাতার নির্মাতা রাজীব বিশ্বাস। এর আগে তার পরিচালনায় ‘অপারেশন জ্যাকপট’ ছবিতে কাজ করেছেন অনন্ত। সেটি এখনও নির্মাণাধীন রয়েছে। নির্মাতা প্রসঙ্গে জলিল বলেন, ‘আমি একজন ভাগ্যবান মানুষ যে, চিতা ছবিতে ওপার বাংলার সুপারহিট ছবির নির্মাতা রাজীব ভাইয়ের সঙ্গে আবার কাজ করতে পারবো।’
বরাবরের মতো এই সিনেমায়ও অনন্ত জলিলের সঙ্গে থাকছেন তার স্ত্রী, নায়িকা বর্ষা।
মহরত অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘আমি খুব নার্ভাস। ভয় লাগছে। ‘খোঁজ-দ্য সার্চ’র (প্রথম ছবি) সময় যেমন লেগেছিল, আজও তেমন লাগছে। আমি আজিজ ভাইয়ের প্রতি ভীষণ কৃতজ্ঞ। তিনি আমাকে এই চরিত্রের জন্য উপযুক্ত ভেবেছেন। আমি জানি যে, এই ক্যারেক্টারের জন্য আমাকে অনেক কষ্ট করতে হবে। তবে সবার কথা শুনে মনে হচ্ছে, ছবিটা ভালো হবে। আর ভালো তো হতেই হবে। কারণ মাসুদ রানা, বাংলার জেমস বন্ড।’
বাংলাদেশ ছাড়াও থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে হবে শুটিং। চিতা ছবির অভিনয়ে আরো থাকছেন আলিশা, সাঞ্জু জন, সীমান্ত, নাদের চৌধুরীসহ আরো অনেকে। আগামী এপ্রিল-মে নাগাদ ছবির শুটিং শুরু হবে।
আনকাট সেন্সর পেয়েছে শাকিব খান ও মিমি চক্রবর্তী অভিনীত রায়হান রাফী পরিচালিত ‘তুফান’। বুধবার (৫ জুন) দুপুরে সেন্সর সার্টিফিকেট হাতে পেয়েছেন সিনেমাটির সংশ্লিষ্টরা।
বিষয়টি নিশ্চত করেন সেন্সর বোর্ড সদস্য ও নির্মাতা কাজী হায়াত। এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘তুফান’ সিনেমা সেন্সর বোর্ড থেকে আনকাট মুক্তির অনুমতি পেয়েছে।
এছাড়া ‘তুফান’ সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই স্টুডিওস লিমিটেডের কর্ণধার শাহরিয়ার শাকিল বলেন, তুফান সিনেমা নিয়ে যে উন্মাদনা সাধারণ দর্শক, হল মালিকদের মধ্যে এটা আশার সঞ্চার করে।
আমি ধন্যবাদ জানতে চাই সেন্সর বোর্ডকে। সেইসঙ্গে বোর্ডের সকল মেম্বারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
তুফান সিনেমায় শাকিব খানকে দেখা যাবে নব্বই দশকের একজন গ্যাংস্টারের ভূমিকায়। এতে আরও অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, মিমি চক্রবর্তী ও মাসুমা রহমান নাবিলা।
আসন্ন ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
ঢালিউডের আলোচিত সমালোচিত নায়িকা পরীমণি এবার আলোচনায় অনলাইন জুয়া কোম্পানি ক্রিকেক্স-এর শুভেচ্ছাদূত হয়ে। গত মার্চে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে পরীমণির নাম ঘোষণা করে কোম্পানিটি।
গতকাল রবিবার (৩ জুন) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এবার ওই কোম্পানির একটি বিজ্ঞাপন পোস্ট করেন নায়িকা। সেখানে ওই জুয়ার ওয়েবসাইট ভিজিট করতে সবাইকে আমন্ত্রণ জানান পরীমণি।
দেড় মিনিটের ওই বিজ্ঞাপনে দেখা যায়, হলে বসে সিনেমা দেখছেন পরীমণি। এমন সময়ে তার মোবাইলে জুয়া কোম্পানি থেকে ১০ হাজার টাকা জেতার ম্যাসেজ আসে। আর তাতেই খুশিতে চিৎকার করে ওঠেন তিনি।
ফ্ল্যাশব্যাকে দেখা যায়, বাংলাদেশ–ভারত ম্যাচে রোহিত শর্মার আউটে আনন্দ করছেন পরীমণি। এরপর তাকে বলতে শোনা যায়, ‘একটু (কোম্পানির নাম) আনন্দে মেতে উঠেছিলাম। তুমিও পারো আমার মতো টিম বানিয়ে ম্যাচ প্রেডিক্ট করে জিতে নিতে নানা উপহার। ওয়েবসাইটে চলে যাও আর পেয়ে যাও আরও তথ্য।’
অবশ্য এটি কোনো জুয়া কোম্পানি কিনা সে প্রসঙ্গে গণমাধ্যম থেকে পরীমণির কাছে জানতে চাইলে বিরক্তি প্রকাশ করে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘কে বলেছে এটা জুয়া কোম্পানির ওয়েবসাইট? ভালো করে খোঁজ নিয়ে ফোন করুন।’