বিদেশ

বিদেশ

আফ্রিকায় ১০ কোটি শিশু ও তরুণ স্কুলে যাওয়ার সুযোগ বঞ্চিত

আফ্রিকান ইউনিয়নের (এইউ) শিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন বিষয়ক কমিশনার মোহাম্মাদ বেলহোসিন বৃহস্পতিবার বলেছেন, আফ্রিকাজুড়ে ৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী প্রায় ১০ কোটি শিশু এবং তরুণ সামাজিকভাবে সমন্বয় না থাকার কারণে স্কুলে যাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। খবর সিনহুয়ার।

ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় এইউ সম্মেলন চলাকালে বেলহোসিন সাংবাদিকদের বলেন, এসব শিশু ও তরুণ সকল দিক থেকে চরম ঝুঁকির মুখে রয়েছে। কারণ, তারা সহজেই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, মাদক ব্যবসায়ী এবং মানব পাচারকারী চক্রের দ্বারা পরিচালিত হতে পারে।

তিনি আরো বলেন, তাদের অনেকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িয়ে পড়তে পারে বা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে বা এ মহাদেশের বাইরে চলে যেতে পারে।

তিনি বৃত্তিমূলক ও কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এসব শিশু ও যুবককে সহায়তা করার প্রয়োজনীয়তার উপর এবং তাদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনের ওপর জোর দেন।

কমিশনার স্বীকার করেন, আফ্রিকা মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানে নানা ধরনের অসুবিধাসর মুখোমুখী হয়। বিশেষকরে নিচের স্তরের শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে। যার ফলে সাব-সাহারান আফ্রিকার প্রতি ১০ জন শিশুর ৯ জনই ১০ বছর বয়সের মধ্যে একটি সাধারণ পাঠ্য পড়তে এবং বুঝতে অক্ষম রয়ে যাচ্ছে।

২০৩০ সাল নাগাদ সার্বজনীন শিক্ষা কভারেজ অর্জনের জন্য আফ্রিকায় প্রায় ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি তহবিল ঘাটতি মেটাতে এ মহাদেশকে সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

তৃতীয় বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন মোদি

ভারতে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক জোট জয় পেয়েছে। এর ফলে টানা তৃতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন তিনি।

তবে তার দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পায়নি।

গত এক দশকে প্রথম বারের মতো পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন না পাওয়ায় বিরোধীরা একে মোদির বিরুদ্ধে স্পষ্ট বার্তা হিসেবে দেখছে।

মঙ্গলবার ভারতের নির্বাচন কমিশন ও গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ২৮৬ আসন পেয়েছে। ইন্ডিয়া জোট পেয়েছে ২০২টি আসন। বিজেপি একা সরকার গঠনের জন্য ২৭২টি আসন পেতে ব্যর্থ হয়েছে। দলটি পেয়েছে ২৪০ আসন। কংগ্রেস পেয়েছে ৯৯টি।

এর মানে বিজেপিকে সরকার গড়তে হলে নির্ভর করতে হবে মূলত দুই শরিক নীতিশ কুমারের জেডি-ইউ ও অন্ধ্র প্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডুর দল তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) ওপর। এই দুই দলের সম্মিলিত আসন ২৮টি।

নির্বাচনের ফলাফলের পর বিজেপি ও কংগ্রেস উভয় শিবিরেই আনন্দ উদযাপিত হচ্ছে।

রাজধানী নয়াদিল্লীতে উৎফুল্ল সমর্থকদের উদ্দেশ্যে মোদি বলেছেন, ভারত তার দল ও জোটকে টানা তৃতীয় বারের মতো সরকার গঠনের রায় দিয়েছে।

তিনি আরো বলেছেন, আমাদের তৃতীয় মেয়াদ হবে অনেকগুলো বড়ো সিদ্ধান্তের একটি এবং দেশ উন্নয়নের নতুন অধ্যায় রচনা করবে। এটা মোদির গ্যারান্টি।

কংগ্রেস ২০১৯ সালের তুলনায় এবারে প্রায় দ্বিগুণ আসনে জেতায় স্বাভাবিকভাবেই উৎফুল্ল দলটি।

দলটির গুরুত্বপূর্ণ নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘দেশের জনগণ নরেন্দ্র মোদিকে বলেছে, আমরা তোমাকে চাই না।’

কংগ্রেসের দলীয় দপ্তরে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কাকে পাশে নিয়ে সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই ফল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক ও নৈতিক পরাজয়। গোটা নির্বাচনটাই বিজেপি লড়েছিল মোদির নামে। যাবতীয় গ্যারান্টিও দিয়েছিলেন মোদি। এটা ছিল তাঁর পক্ষে অথবা বিপক্ষের গণভোট। জনতা তাঁর বিরুদ্ধেই মত দিয়েছে।

এদিকে নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে ২৮২ আসন পেয়ে সরকার গড়েছিলেন। পরের নির্বাচনে তিনি পান ৩০৩ আসন। এবারে তা নেমে এসেছে ২৪০ আসনে। সরকার গড়ার যে ৩২টি আসন ঘাটতি রয়েছে তার জন্যে মোদিকে নির্ভর করতে হবে জেডি-ইউ, টিডিপি, শিবসেনার শিন্ডে গোষ্ঠী, চিরাগ পাসোয়ানের এলজেপি ও উত্তর প্রদেশের জয়ন্ত চৌধুরীর আরএলডির মতো দলগুলোর ওপর।

নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে ৯৬ কোটি ৮০ লাখ ভোটার ভোট দিয়েছেন যা শতকরা হিসাবে ৬৬.৩। এটি ২০১৯ সালের নির্বাচনের তুলনায় এক শতাংশ কম।

বিশ্লেষকেরা এ জন্যে উত্তর ভারত জুড়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহকে দায়ী করেছেন। ওই অঞ্চলে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

পরবর্তী খবর

ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসিসহ অন্যদের লাশ উদ্ধার

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্টসহ আরো যারা নিহত হয়েছেন তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার কার্যক্রমও শেষ হয়েছে।

ইরানের রেডক্রিসেন্ট সোমবার এ কথা জানিয়েছে।

ইরানের রেডক্রিসেন্ট প্রধান পীরহোসেন কোলিভান্দ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেছেন, আমরা শহীদদের মরদেহ ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের তাবরিজে পাঠানোর প্রক্রিয়ায় রয়েছি।

উদ্ধার কার্যক্রম শেষ হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে রোববার দুর্গম পাহাড়ে প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী  হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। এতে প্রেসিডেন্ট সকল আরোহী প্রাণ হারায়।

বিষয়:
সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত