পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) ১৪তম জাতীয় স্নাতক গণিত অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে গণিত অলিম্পিয়াডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ১৪তম জাতীয় স্নাতক গণিত অলিম্পিয়াডের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অধ্যাপক ড. আব্দুল মাসুদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিএসই অনুষদের ডিন অধ্যাপক বেল্লাল হোসেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমান, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির (আইইউটি) সহকারী অধ্যাপক মো. আবুল কালাম আজাদ।
এখানে বরিশাল বিভাগের বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান চলমান শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়। অলিম্পিয়াডে ১০টি পজিশনের ভেতর ১ম, ২য়, ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম এবং ১০ম- মোট ৬টি পজিশনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগ জয়ী হয়েছে। ১ম স্থান অধিকার করে গণিত বিভাগের সাইদুর রহমান আরিফ এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে গণিত বিভাগের মোঃ রাকিন আসিফ আলমাস।
এই জয় নিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রু.দা.) ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে ভালো করছে এটা দেখতে পেয়ে আমার খুব ভালো লাগে এবং তাদের উৎসাহ উদ্দীপনা দেওয়াটাই হলো আমাদের মূল কাজ।শিক্ষার্থীদের এ ধরনের সাফল্যে সবসময় আমি আনন্দ এবং গর্ববোধ করি এবং তাদের পাশে আমি সবসময় আছি, থাকবো।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা ভালো করায় আমি আসলেই খুব খুশি এবং আনন্দিত। আমি আশা করি এদের নিয়ে ঢাকায় যে অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হবে সেখানেও তারা সফলতা অর্জন করবে।
শিক্ষার্থীদের সংঘাত ও অপ্রাসঙ্গিক কার্যক্রম থেকে দূরে রাখতে এবং তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা শিক্ষাসংক্রান্ত নয় এমন বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশ নিচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি অভিভাবকদের মধ্যেও উদ্বেগ বাড়ছে।
এ পরিস্থিতি এড়াতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষামুখী রাখার জন্য বিভিন্ন কো-কারিকুলার কার্যক্রম বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে ৯টি কার্যক্রমের একটি নমুনা তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত ৯টি কার্যক্রম :
১. আঙিনা পরিচ্ছন্নতা অভিযান : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্যোগ।
২. বিজয়ের ৩৬ জুলাই ভিত্তিক গ্রাফিতি : নির্বাচিত গ্রাফিতি নিয়ে সফট অ্যালবাম তৈরি এবং শ্রেষ্ঠ গ্রাফিতি পুরস্কার প্রদান।
৩. থিম সং পরিবেশনা : ‘ক্রান্তিকালে তারুণ্য দুর্জয়’ থিমে গান তৈরি, পরিবেশনা, সফট অ্যালবাম তৈরি ও প্রতিযোগিতার আয়োজন।
৪. পারসোনাল হাইজিন প্রশিক্ষণ : গার্লস স্কুল ও কলেজে মেয়েদের জন্য ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ।
৫. জাতীয় দিবসে আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ : বিএনসিসি, স্কাউট ও রোভার স্কাউটের সহায়তায় কুচকাওয়াজের আয়োজন।
৬. প্রকৃতি দর্শন : শিক্ষার্থীদের জন্য নিকটবর্তী নান্দনিক স্থান যেমন নদীতীর, চর, উপকূল বা পাহাড় ভ্রমণের আয়োজন।
৭. ক্রীড়া প্রতিযোগিতা : ক্রিকেট, ফুটবল ও ভলিবল টুর্নামেন্টের আয়োজন।
৮. জেন-জি উদ্যোক্তা বিতর্ক প্রতিযোগিতা : তরুণ উদ্যোক্তা কর্মী তৈরির লক্ষ্যে বিতর্ক প্রতিযোগিতা।
৯. জুলাই বিপ্লব বিষয়ক আলোচনা সভা : ‘জুলাই বিপ্লব কী, কেন, কিভাবে’ বিষয়ে ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকদের আলোচনার আয়োজন।
অভিভাবকদের সম্পৃক্ত করার আহ্বান
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অভিভাবকদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে শ্রেণিকক্ষ কার্যক্রম ও কো-কারিকুলার কার্যক্রমকে জোরদার করতে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় মনে করে, এসব কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতাকে উজ্জীবিত করবে এবং শিক্ষার পরিবেশ উন্নত করবে।
ঈদুল আযহার ছুটি শেষে রবিবার খুলছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরমেবি)।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, রবিবার থেকে যথারীতি একাডেমিক এবং দাপ্তরিক সব কাজ চলমান থাকবে।
এরই মাঝে দীর্ঘ যানজট উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে ফিরতে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, গত ১২ জুন থেকে ২২ জুন মোট ১০ দিন ঈদুল আযহার ছুটি পায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।