খেলা

খেলা

সাকিবের রংপুরকে হারিয়ে বিপিএল ফাইনালে তামিমের বরিশাল

দশম বিপিএলর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হয়েছিল ফরচুন বরিশাল ও রংপুর রাইডার্স। লড়াইটা দুদলের হলেও একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। আর এ কারণে ম্যাচটিকে পাখির চোখ করে রেখেছিলেন ক্রীড়াপ্রেমীরা। যেখানে শেষ হাসিটা হেসেছে তামিমের দলই।

বুধবার অঘোষিত ‘ফাইনালে’ রংপুর রাইডার্সকে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। এর মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে আসরের ফাইনালের টিকিট পেয়েছে তামিম-মুশফিকরা। শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচে তাদের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

এদিন মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৯ রান সংগ্রহ করে রংপুর রাইডার্স। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট ও ৯ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে বরিশাল।

রান তাড়ায় ফরচুন বরিশালের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ম্যাচের শুরু থেকে দেখেশুনে খেলতে থাকেন তারা।

ইনিংসের চতুর্থ ওভারে তামিমকে সাজঘরের পথ দেখান আবু হায়দার রনি। আউট হওয়ার আগে ৮ করেন তিনি। একই ওভারে লেগ বিফরের ফাঁদে পড়েন মেহেদী মিরাজ। আম্পায়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। এতে ১০ রানেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয় ডানহাতি এ ব্যাটারকে।

শুরুর চাপ সামলে সৌম্যের সঙ্গে জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম। ম্যাচের দশম ওভারে নবীর ঘূর্ণিতে সৌম্যকে স্টাম্পিং করেন সোহান। সৌম্যর বিদায়ে ভেঙে যায় তাদের ৪৭ রানের ইনিংস।

পরে ক্রিজে আসেন কাইল মেয়ার্স। ব্যাট হাতে ২৮ রানের ক্যামিও ইনিং খেলে আউট হন তিনি। শেষ পর্যন্ত মিলারকে সঙ্গে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন অভিজ্ঞ ক্যাম্পেইনার মুশফিকুর রহিম। দলের জয়ে ব্যাট হাতে অপরাজিত ৪৭ রানের ইনিংস উপহার দেন মুশি।

রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট শিকার করেন আবু হায়দার রনি।

এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এতে আগে ব্যাট করে রংপুর। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন শেখ মাহেদী ও রনি তালুকদার।

তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই জুটিতে আঘাত হানেন সাউফউদ্দিন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের শুরুতেই মাহেদীকে উইকেটের পেছনে মুশফিকের তালুবন্দী করেন তিনি। আউট হওয়ার ২ করেন তিনি।

ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব আল হাসান (১) ও রনি তালুকদার (৮)। শুরুর চাপ সামলে দলকে কিছুটা এগিয়ে নেন জেমি নিশাম। তার ব্যাটে আশা দেখছিল সোহেলের শিষ্যরা। কিন্তু ২৮ করে সাজঘরের পথ ধরেন নিশাম।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে রংপুর যখন মহাবিপদে। তখন ব্যাট হাতে একাই লড়াই চালিয়ে যান শামীম। এতে ২০ বলে ফিফটি করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২৪ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন। এ সময় তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন আবু হায়দার রনি।

শামীম-রনি জুটির ব্যাট থেকে আসে ৭২ রান। তাদের জুটিতে ভর করেই ১৪৯ রানে থামে রংপুরের ইনিংস। বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন জেমস ফুলার।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ

ভারতকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল ভারতকে ৫৯ রানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার এশিয়া কাপ জিতেছে। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হারার পর টানা জিতে চলেছিল ভারত। তবে বড় প্রতিপক্ষ হিসেবে হাজির হলেও বাংলাদেশ তার শক্তিশালী ব্যাটিং ও বোলিংয়ের মাধ্যমে ভারতের দাপটকে ভেঙে দিয়েছে। ফাইনালে বাংলাদেশ ১৯৮ রান তুলে ভারতকে ১৩৯ রানে গুটিয়ে দেয়।

বাংলাদেশের ইনিংসে শিহাব জেমস (৪০) ও রিজান হোসেন (৪৭)-এর গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস ছিল। উইকেটকিপার ফরিদ হাসানও ৩৯ রান করে দলের স্কোর বাড়াতে সহায়তা করেন। বাংলাদেশ দলের পেসাররা, বিশেষ করে ইকবাল হোসেন ইমন (১৩ উইকেট) ও আল ফাহাদ (১২ উইকেট), পুরো টুর্নামেন্টে দাপট দেখিয়েছেন। ফাইনালে ইমন তিনটি উইকেট নিয়ে ভারতের ব্যাটিংয়ের ভিত গুঁড়িয়ে দেন।

ভারতের পক্ষে কোনো ব্যাটসম্যান ৩০ রান পেরোতে পারেননি। ১৩৯ রানেই ভারত শেষ হয়ে যায়।
এশিয়া কাপের ইতিহাসে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় শিরোপা। গত বছর বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতেছিল।

পরবর্তী খবর

ঠাকুরগাঁওয়ে অনূর্ধ্ব-১৮ জাতীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

জাঁকজকমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইয়ং টাইগার্স অনূর্দ্ধ-১৮ জাতীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট-২৪-২৫ (বিভাগীয় পর্যায়) উদ্বোধন করা হয়। রোববার শহীদ মোহাম্মদ আলী স্টেডিয়ামে বেলুন উড়িয়ে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা।

জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন, জেলা ক্রিকেট কোচ রোকনুজ্জামান রাহাত প্রমুখ।

উদ্বোধনী খেলায় পঞ্চগড় জেলা টিম জয়লাভ করে। ৫০ ওভারের খেলায় টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পঞ্চগড় টিম। ব্যাটিংয়ে লালমনিরহাট টিম ২০ ওভার ৩ বল খেলে ১০ উইকেটে ৫২ রান করে। জবাবে পঞ্চগড় জেলা টিম ১৭ ওভার ২ বল খেলেই ৩ উইকেটেই জয় নিশ্চিত করে ৭ উইকেটে জয়লাভ করে।

উল্লেখ্য, টুর্নামেন্টটি বিভাগীয় ২টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁও ভেন্যুতে মোট ৪টি টিম অংশগ্রহণ করছে। টিমগুলো হলো পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, দিনাজপুর ও নীলফামারী টিম। অপরদিকে লালমনিরহাট ভেন্যুতে ঠাকুরগাঁও, রংপুর, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম টিম অংশগ্রহণ করছে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত