বিশ্ব চলচ্চিত্রের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড বা অস্কার। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের কালিফোর্নিয়ার স্যামুয়েল গোল্ডউইন থিয়েটার থেকে ঘোষণা করা হয় ৯৬তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডের মনোনয়প্রাপ্তদের নাম।
এবার ২৩টি শাখায় মনোনয়ন ঘোষণা করেছে অস্কার কর্তৃপক্ষ। চলুন জেনে নিই উল্লেখযোগ্য বিভাগে কারা পেলেন এবারের অস্কার মনোনয়ন—
সেরা সিনেমা
আমেরিকান ফিকশন
অ্যানাটমি অব আ ফল
বার্বি
দ্য হোল্ডওভারস
কিলার্স অব দ্য ফ্লাওয়ার মুন
মায়েস্ত্রো
ওপেনহেইমার
পাস্ট লাইভস
পুওর থিংস
দ্য জোন অব ইন্টারেস্ট
সেরা অভিনেতা
ব্র্যাডলি কুপার (মায়েস্ত্রো)
কোলম্যান ডোমিঙ্গো (রাস্টিন)
পল গিয়ামাট্টি (দ্য হোল্ডওভারস)
কিলিয়ান মারফি (ওপেনহেইমার)
জেফরে রাইট (আমেরিকান ফিকশন)
সেরা পার্শ্ব অভিনেতা
স্টার্লিং কে ব্রাউন (আমেরিকান ফিকশন)
রবার্ট ডি নিরো (কিলার্স অব দ্য ফ্লাওয়ার মুন)
রবার্ট ডাউনি জুনিয়র (ওপেনহেইমার)
রায়ান গসলিং (বার্বি)
মার্ক রাফালো (পুওর থিংস)
সেরা অভিনেত্রী
অ্যানেট বেনিং (নায়াড)
লিলি গ্ল্যাডস্টন (কিলারস অব দ্য ফ্লাওয়ার মুন)
সান্দ্রা হলার (অ্যানাটমি অব আ ফল)
কেরি ম্যালিগান (মায়েস্ত্রো)
এমা স্টোর (পুওর থিংস)
সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী
এমিলি ব্লান্ট (ওপেনহেইমার)
ড্যানিয়েল ব্রুকস (দ্য কালার পার্পল)
আমেরিকা ফেরেরা (বার্বি)
জোডি ফস্টার (নায়াড)
ডা’ভাইন জয় র্যান্ডলফ (দ্য হোল্ডওভারস)
সেরা পরিচালক
জাস্টিন ত্রিয়েত (অ্যানাটমি অব আ ফল)
মার্টিন স্করসেজি (কিলারস অব দ্য ফ্লাওয়ার মুন)
ক্রিস্টোফার নোলান (ওপেনহেইমার)
ইয়োর্গস লান্থিমোস (পুওর থিংস)
জোনাথন গ্লেজার (দ্য জোন অব ইন্টারেস্ট)
সেরা চিত্রনাট্য (অ্যাডাপ্টেড)
আমেরিকান ফিকশন
বার্বি (গ্রেটা গারউইগ
ওপেনহেইমার
পুওর থিংস
দ্য জোন অব ইন্টারেস্ট
সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য
অ্যানাটমি অব আ ফল
দ্য হোল্ডওভারস
মায়েস্ত্রো
মে ডিসেম্বর
পাস্ট লাইভস
সেরা আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্ম
ইয়ো ক্যাপিটানো
পারফেক্ট ডেইজ
সোসাইটি অব দ্য স্নো
দ্য টিচারস লাউঞ্জ
দ্য জোন অব ইন্টারেস্ট
সেরা অ্যানিমেটেড ফিচার ফিল্ম
দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন
এলিমেন্টাল
নিমোনা
রোবট ড্রিমস
স্পাইডারম্যান : অ্যাক্রস দ্য স্পাইডার-ভার্স
সেরা মৌলিক গান
দ্য ফায়ার ইনসাইড- ফ্লেমিং হট (ডায়ান ওয়ারেন)
আই অ্যাম জাস্ট কেন- বার্বি (মার্ক রনসন, অ্যান্ড্রু ওয়াট)
ইট নেভার ওয়েন্ট অ্যাওয়ে- আমেরিকান সিম্ফনি (জন ব্যাটিস্ট, ড্যান উইলসন)
আ সং ফর মাই পিপল-কিলারস অব দ্য ফ্লাওয়ার মুন (স্কট জর্জ)
হোয়াট ওয়াজ আই মেইড ফর?– বার্বি (বিলি আইলিশ, ফিনিয়াস ও’কনেল)
দীর্ঘ তিন বছরের অপেক্ষার পর অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে বাংলাদেশ-ইরান যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র ‘ফেরেশতে’। ইরানি নির্মাতা মুর্তজা অতাশ জমজম পরিচালিত ছবিটি ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সব সিনেপ্লেক্সে প্রদর্শিত হবে।
প্রান্তিক মানুষের জীবনের গল্প নিয়ে নির্মিত ছবিতে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। বর্তমানে কলকাতায় অবস্থান করা এই অভিনেত্রী ব্যক্তিগত কাজ শেষে এই সপ্তাহেই ঢাকায় ফিরবেন। এরপর ছবির প্রচারণায় অংশ নেবেন তিনি।
জয়া বলেন, ‘আমাদের দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ভেতরের সংগ্রামী ও সাহসী চরিত্রের একজনকে ফুটিয়ে তোলা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবে পুরো টিমের সহযোগিতায় কাজটি ভালোভাবে শেষ করতে পেরেছি।’
‘ফেরেশতে’ ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রশংসিত হয়েছে। ছবিটি ফজর চলচ্চিত্র উৎসবে মানবিক বার্তার জন্য জাতীয় পুরস্কার জিতেছে। এছাড়া ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৪-এর উদ্বোধনী ছবি হিসেবে প্রদর্শিত হয়েছিল এবং গোয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও প্রশংসা কুড়িয়েছে।
ছবির প্রধান অভিনেতা ও প্রযোজক সুমন ফারুক বলেন, ‘এই চলচ্চিত্রে সমাজের প্রান্তিক মানুষের গল্প উঠে এসেছে, যা সহজে উচ্চবিত্তরা উপলব্ধি করতে পারে না। আশা করছি, দেশীয় দর্শকও ছবিটিকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করবেন।’
চলচ্চিত্রটিতে জয়া আহসান ও সুমন ফারুক ছাড়াও অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, শাহেদ আলী, রিকিতা নন্দিনী শিমু, শাহীন মৃধা ও শিশুশিল্পী সাথী। চিত্রনাট্য লিখেছেন মুমিত আল-রশিদ, আর ফারসি ও বাংলা অনুবাদ করেছেন ফয়সাল ইফরান।

বাংলাদেশি দর্শকদের জন্য এ ছবিটি একদিকে হবে সামাজিক বার্তাবহ, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মানের একটি ভিন্নধর্মী অভিজ্ঞতা।
অভিনয়ে নিয়মিত না হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব উপস্থিতি বজায় রেখেছেন লাক্সকন্যা শবনম ফারিয়া। শুধু শোবিজ ইস্যুই নয়, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়েও খোলামেলা মতামত দিয়ে আসছেন এই অভিনেত্রী। নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে তিনি বললেন, রাজনীতি নয়, বরং সোশ্যাল অ্যাকটিভিজমকেই ভবিষ্যতে বেছে নিতে চান তিনি।
শবনম ফারিয়ার ভাষায়, ‘ভবিষ্যতে নিজেকে একজন সোশ্যাল অ্যাকটিভিস্ট হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমি একজন শিল্পী, সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনের অংশ হতে চাই। রাজনীতি আমার মঞ্চ নয়। ভালোকে ভালো, খারাপকে খারাপ, চোরকে চোর আর চাঁদাবাজকে চাঁদাবাজ বলাই আমার নীতি।’
ব্যক্তিগত জীবনে কঠিন সময় পার করা প্রসঙ্গেও খোলামেলা ছিলেন তিনি। বললেন, ‘অপ্রয়োজনীয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসার ইচ্ছে আমার কখনোই ছিল না। তা না হলে অভিনয়ের পাশাপাশি চাকরি না করে টিকটকে নাচতাম, জিম করতাম, কিংবা মিরর সেলফি দিতাম। এই দেশে অ্যাটেনশনের জন্য খুব বেশি কষ্ট করতে হয় না, আমিও জানি, আপনারাও জানেন।’
রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি দূর করতেও দৃঢ় ভাষায় বক্তব্য রাখেন ফারিয়া। তার স্পষ্ট ঘোষণা— ‘বর্তমানে বাংলাদেশে যেসব রাজনৈতিক দল আছে বা সম্প্রতি নিষিদ্ধ হয়েছে, তাদের কারোর সঙ্গেই আমার কোনো সমর্থন নেই। আমার ফেসবুক পেজ পাবলিক। সেখানে যেমন কালা মাগুর কমেন্ট করতে পারে, তেমনি নীল তিমি, কাউয়া কিংবা টিয়াও পারে। এতে আমার রাজনৈতিক আদর্শ প্রতিফলিত হয় না। আমি কোনো রাজনৈতিক চরিত্র নই।’
অভিনয়ে অনিয়মিত হলেও নিজের অবস্থান, চিন্তাভাবনা আর খোলামেলা বক্তব্যের জন্যই শবনম ফারিয়া আলোচনায় থাকেন প্রায়ই। রাজনীতির বাইরে থেকেও তিনি বিশ্বাস করেন, সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব। আর সেই পরিবর্তনের লড়াইয়েই সক্রিয় থাকতে চান তিনি।