অর্থ ও বাণিজ্য

অর্থ ও বাণিজ্য

ভোমরাকে আধুনিক স্থলবন্দরে রূপান্তরিত করা হবে : আশরাফুজ্জামান আশু

ভোমরা বন্দরকে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন আন্তর্জাতিক মানের স্থলবন্দরে রূপান্তরিত করা হবে। অন্য কারো তাবেদারিতে আর এই বন্দর চলবে না। সবার সার্বিক সহযোগিতায় এই বন্দর হবে দেশের অন্যতম একটি বন্দর। বন্দরের উন্নয়নের স্বার্থে কোন গডফাদারকে আশ্রয় দেওয়া হবে না। বন্দরে ব্যবসায়ীদের আনতে হবে। সেজন্য ভোমরা বন্দরটিকে ব্যবসায়ীবান্ধব করা হবে।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকাল ৪টায় সিএন্ডএফ’র ভবন মিলনায়তনে এসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দিলওয়ার রাজুর সভাপতিত্বে সাতক্ষীরা-০২ আসনের নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্য মো. আশরাফুজ্জামান আশুকে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এমপি মো. আশরাফুজ্জামান আশু আরও বলেন, ভোমরা বন্দরে ব্যবসায়ীদের জন্য আধুনিক সুযোগসুবিধা থাকা সত্ত্বেও বন্দরকে নষ্ট করার জন্য একটি কুচক্রী মহল নিজেদের ফায়দা লোটার জন্য বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সেজন্য কেউ যাতে কোন প্রকার অপপ্রচার না চালাতে পারে সেদি লক্ষ্য রাখতে হবে। ভোমরা স্থলবন্দরের সুফলগুলো প্রচার করতে হবে। যাতে বন্দর ব্যবহারকারী দেশের বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীরা এই বন্দরে আসে।

সাতক্ষীরায় ভোমরা কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের উদ্যোগে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠান সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এ এস এম মাকছুদ খানের সঞ্চালনয় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য এ কে ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো নজরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো আসাদুজ্জামান বাবু, সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. মহিদুল ইসলাম।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ভোমরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইসরাইল গাজী, সিএন্ডএফ’র সহ-সভাপতি এজাজ আহম্মেদ স্বপন, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বাবু, ভোমরা ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তা মাজরিহা হোসাইন প্রমুখ।

এছাড়াও ভোমরা সকল সংগঠন, কর্মকর্তা, কর্মচারী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যকে ভোমরা কাস্টমস্ সি এন্ড এফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশন, ভোমরা কাস্টমস্ সি এন্ড এফ এজেন্টস্ কর্মচারী এসোসিয়েশন, ট্রান্সপোর্ট মালিক সমবায় সমিতি (রেজিঃ নং-৮৬/সাত), ট্রান্সপোর্ট মালিক বহুমুখী সমবায় সমিতি (রেজিঃ নং-৮৭/সাত), ভোমরা স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং-১৭২২, ১৯৬৪, ১১৫৫ এবং ১১৫৯)-এর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

বিষয়:
পরবর্তী খবর

নারী এগিয়ে গেলে সমাজ এগিয়ে যাবে : শারমিন সুলতানা

হোমমেইড আচার ব্র্যান্ড ‘পুত্রবধূ’র প্রতিষ্ঠাতা শারমিন সুলতানা একজন সাহসী ও আত্মপ্রত্যয়ী নারী। তার এই উদ্যোগের পেছনে রয়েছে অনুপ্রেরণাদায়ী এক গল্প।

রোজকার খবরের বিশেষ প্রতিনিধি ফারজানা জিতুর কাছে নিজের উদ্যোক্তা জীবনের গল্প বলেছেন শারমিন। জানিয়েছেন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও নানা ভাবনা। উদ্যোক্তাদের জীবন ও ভাবনা নিয়ে শিল্পপুরাণআরশিনগরের সৌজন্যে রোজকার খবরের নিয়মিত আয়োজনের অংশ হিসেবে আজ প্রকাশিত হল এই বিশেষ প্রতিবেদন।

শারমিনের উদ্যোগের নাম ‘পুত্রবধূ’ দেওয়ার পেছনে একটি বিশেষ কারণ রয়েছে। বিয়ের পর তিনি যখন তার উদ্যোক্তা জীবন শুরু করেন, তখন তিনি ছিলেন তার শ্বশুরবাড়ির একমাত্র পুত্রবধূ। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই তিনি তার ব্র্যান্ডের নাম দেন ‘পুত্রবধূ’। গত সাড়ে তিন বছর ধরে অনলাইনে সুনামের সঙ্গে হোমমেইড আচার বিক্রি করছে ‘পুত্রবধূ’।

শারমিন বেড়ে উঠেছেন গ্রামের মুক্ত পরিবেশে। কিন্তু ২০২০ সালে করোনাকালে বিয়ে হয়ে ঢাকায় এসে তাকে একটি নতুন জীবনের মুখোমুখি হতে হয়। শহুরে জীবনের সাথে মানিয়ে নিতে এবং সেই সময়কার মৃত্যু ও অনিশ্চয়তার সংবাদ দেখে তিনি ক্রমশ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। কাজের অভাব এবং অবসর সময় ফেসবুকে কাটিয়ে তার মন আরও ভারাক্রান্ত হয়ে উঠছিল।

তখনই তার স্বামী তাকে অনলাইন বিজনেস শুরুর প্রস্তাব দেন। শারমিন গ্রামে থাকতে আচার বানাতে ভালোবাসতেন। সেই ভালোবাসা থেকেই তিনি তার উদ্যোক্তা জীবনের যাত্রা শুরু করেন।

উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার পেছনে শারমিনের স্বামী এবং শ্বশুরের পূর্ণ সমর্থন ছিল। তবে শাশুড়ি এবং বাবার বাড়ির লোকজন তাকে নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। শাশুড়ি বলতেন, “তুমি আমার একমাত্র বউমা। তুমি আচার সেল করবা, সমাজের লোকজন তো হাসবে।” অন্যদিকে, তার বাবা চেয়েছিলেন তিনি পড়াশোনা শেষ করে সরকারি চাকরি করুন।

তবে শারমিন ও তার স্বামী পরিবারের সবাইকে অনলাইন ব্যবসার গ্রহণযোগ্যতা বোঝাতে সক্ষম হন। আজ সেই শাশুড়ি এবং বাবার বাড়ির লোকজনও তার কাজে গর্ববোধ করেন এবং তাকে সমর্থন করেন।

শারমিনের জন্য পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে ব্যবসা শুরু করা সহজ ছিল না। কিন্তু তার স্বামীর অকুণ্ঠ সমর্থন ও পরামর্শ তাকে এই পথচলায় আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। পেজ খোলা থেকে শুরু করে কাস্টমারদের সাথে যোগাযোগ, প্যাকেজিং– এসব বিষয়ে তার স্বামী তাকে হাতে-কলমে শিখিয়েছেন।

শারমিন মনে করেন, চাকরির আশায় বসে না থেকে স্টুডেন্ট লাইফ থেকেই ছোট পরিসরে কাজ শুরু করা উচিত। তিনি নতুন উদ্যোক্তাদের প্রতি বলেন, ব্যবসা শুরু করতে বড় মূলধনের প্রয়োজন নেই। রিসেলার হিসাবে শূন্য পুঁজি দিয়ে শুরু করেও সফল হওয়া সম্ভব। পরবর্তীতে সেই লাভ থেকে নিজস্ব উদ্যোগ শুরু করা যেতে পারে।

শারমিনের স্বপ্ন, তার ‘পুত্রবধূ’ ব্র্যান্ডটি শুধু দেশের ৬৪ জেলাতেই নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও সুনাম অর্জন করুক। তিনি চান দেশের নারীরা আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠুক। প্রয়োজনে তিনি তাদের আচার বানানোর কৌশল শিখিয়ে সাহায্য করতে প্রস্তুত।

শারমিন সুলতানার গল্প একটি প্রমাণ যে, কঠোর পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাস এবং পরিবারের সমর্থন থাকলে যে কেউ সফল হতে পারে। তার মতো নারীরা বাংলাদেশে উদ্যোক্তা আন্দোলনের পথিকৃৎ। শারমিন বিশ্বাস করেন, নারীরা এগিয়ে গেলে সমাজ আরও এগিয়ে যাবে।

 

 

পরবর্তী খবর

জেসিআই ঢাকা পাইওনিয়ারের লোকাল প্রেসিডেন্ট হলেন মো. তাসদীখ হাবীব

জেসিআই ঢাকা পাইওনিয়ারে নতুন বছরের লোকাল প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মো. তাসদীখ হাবীব।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর এসকর্ট প্লেসে অনুষ্ঠিত জেসিআই ঢাকা পাইওনিয়ারের চতুর্থ জেনারেল মেম্বারশিপ মিটিং (জিএমএম) এবং জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে তার নাম ঘোষণা করা হয়। মিটিংয়ে ইলেকশন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ২০২৩ সালের প্রেসিডেন্ট আল শাহারিয়ার।

অনুষ্ঠানে জেসিআই ঢাকা পাইওনিয়ারের ফাউন্ডিং প্রেসিডেন্ট ইলিয়াস মোল্লা, ২০২৩ সালের প্রেসিডেন্ট আল শাহারিয়ার, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট ফিলকুল আহমেদ, ২০২৪ সালের মেন্টর এবং ন্যাশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ফজলে মুনিব এবং ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আরেফিন রাফি আহমেদ সহ বিভিন্ন চ্যাপ্টারের এলপিরা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচিত অন্যান্য সদস্যরা হলেন- এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. তৌহিদুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট নূরুন নবী হাসান, ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ উসওয়াত ইমাম, সেক্রেটারি জেনারেল মো. শরিফুল ইসলাম, জেনারেল লিগাল কাউন্সিল মোহতারিমা রহমান, ট্রেজারার পারভেজ, ডিজিটাল কমিটি চেয়ার আপেল মাহমুদ রিয়াদ, পিআর ও মিডিয়া কমিটি চেয়ার জোবায়ের ইসলাম, ডিরেক্টর দাবিরুল ইসলাম দীপু, ডিরেক্টর আরিফুর রহমান ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানে ২০২৫ সালের নতুন বোর্ডের সদস্যরা শপথ গ্রহণ করেন।

নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মো. তাসদীখ হাবীব বলেন, “আমি পাইওনিয়ারকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। নতুন সদস্য সংগ্রহ এবং সক্রিয় সদস্যের অংশগ্রহণ বাড়ানোই হবে আমাদের অগ্রাধিকার।”

বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ফিলকুল আহমেদ নতুন নেতৃত্বকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “আমার মেয়াদকালে পাইওনিয়ারের সঙ্গে কাজ করা একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা ছিল। আমরা এই বছর অনেক কিছু অর্জন করেছি, যা নতুন নেতৃত্বের জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করবে। আমি বিশ্বাস করি, তারা আমাদের অর্জনকে আরও বড় সাফল্যে রূপান্তর করবে।”

বিষয়:
সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত