যশোরে রবিবার (২৮ জানুয়ারি ২০২৪ইং) ‘হারল্যান স্টোর’ উদ্বোধন করেছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমন। যশোরের বি.কে সূর বিতানের নিচতলায় এই শো’রুম মান সম্মত অথেনটিক প্রসাধনী পণ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করবে বলে জানিয়েছে হারল্যান কর্তৃপক্ষ।
উদ্বোধনকালে অপু বিশ্বাস বলেন, হারল্যান স্টোর আন্তর্জাতিক মানের খ্যাতনামা সব কসমেটিক্স ও প্রসাধনী পণ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করছে। কসমেটিক্স ব্যবহারকারীদের কাছে অথেনটিক প্রোডাক্ট প্রাপ্তির জন্য এই স্টোর এখন নির্ভরতার প্রতীক।
নায়ক ইমন বলেন, হারল্যান স্টোর প্রিমিয়াম কোয়ালিটির প্রোডাক্ট নিশ্চিত করায় হাতের নাগালে মিলবে হারল্যান, নিওর, সিওডিল এবং ব্লেইজ ও স্কিনের প্রোডাক্টগুলো।
এ সময় অন্যন্যেও মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হারল্যান স্টোরের সিইও এমদাদুল হক সরকার, রিমার্কের হেড অব সেলস মাজেদুর রতন, হারল্যান স্টোরের হেড অব অপারেশনস আব্দুল আলিম শিমুলসহ কোম্পানির ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
হারল্যান সংশ্লিষ্টরা জানান, মানসম্মত অথেনটিক কসমেটিক্স পণ্য দেশের সবার কাছে পৌঁছে দিতেই নতুন করে এসব ‘হারল্যান স্টোর’ চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেশজুড়ে প্রতিটি জেলা ও উপজেলাভিত্তিক এসব স্টোর সৌন্দর্যপ্রিয় ত্বক সচেতন মানুষের চাহিদাপূরণ করবে। এছাড়া উদ্বোধন উপলক্ষে এসব স্টোরে মাসব্যাপী চলবে ৩০% পর্যন্ত বিশেষ ছাড়। এসব স্টোরে রয়েছে একদম ফ্রি-তে স্কিন এনালাইজার মেশিন ব্যবহারের সুযোগ। যার মাধ্যমে ভোক্তারা তাদের ত্বকের জন্য কোন ধরণের কসমেটিক্স প্রয়োজন সহজেই তা জানতে পারবেন।
দীর্ঘ তিন বছরের অপেক্ষার পর অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে বাংলাদেশ-ইরান যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র ‘ফেরেশতে’। ইরানি নির্মাতা মুর্তজা অতাশ জমজম পরিচালিত ছবিটি ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সব সিনেপ্লেক্সে প্রদর্শিত হবে।
প্রান্তিক মানুষের জীবনের গল্প নিয়ে নির্মিত ছবিতে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। বর্তমানে কলকাতায় অবস্থান করা এই অভিনেত্রী ব্যক্তিগত কাজ শেষে এই সপ্তাহেই ঢাকায় ফিরবেন। এরপর ছবির প্রচারণায় অংশ নেবেন তিনি।
জয়া বলেন, ‘আমাদের দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ভেতরের সংগ্রামী ও সাহসী চরিত্রের একজনকে ফুটিয়ে তোলা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবে পুরো টিমের সহযোগিতায় কাজটি ভালোভাবে শেষ করতে পেরেছি।’
‘ফেরেশতে’ ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রশংসিত হয়েছে। ছবিটি ফজর চলচ্চিত্র উৎসবে মানবিক বার্তার জন্য জাতীয় পুরস্কার জিতেছে। এছাড়া ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৪-এর উদ্বোধনী ছবি হিসেবে প্রদর্শিত হয়েছিল এবং গোয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও প্রশংসা কুড়িয়েছে।
ছবির প্রধান অভিনেতা ও প্রযোজক সুমন ফারুক বলেন, ‘এই চলচ্চিত্রে সমাজের প্রান্তিক মানুষের গল্প উঠে এসেছে, যা সহজে উচ্চবিত্তরা উপলব্ধি করতে পারে না। আশা করছি, দেশীয় দর্শকও ছবিটিকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করবেন।’
চলচ্চিত্রটিতে জয়া আহসান ও সুমন ফারুক ছাড়াও অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, শাহেদ আলী, রিকিতা নন্দিনী শিমু, শাহীন মৃধা ও শিশুশিল্পী সাথী। চিত্রনাট্য লিখেছেন মুমিত আল-রশিদ, আর ফারসি ও বাংলা অনুবাদ করেছেন ফয়সাল ইফরান।

বাংলাদেশি দর্শকদের জন্য এ ছবিটি একদিকে হবে সামাজিক বার্তাবহ, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মানের একটি ভিন্নধর্মী অভিজ্ঞতা।
অভিনয়ে নিয়মিত না হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব উপস্থিতি বজায় রেখেছেন লাক্সকন্যা শবনম ফারিয়া। শুধু শোবিজ ইস্যুই নয়, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়েও খোলামেলা মতামত দিয়ে আসছেন এই অভিনেত্রী। নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে তিনি বললেন, রাজনীতি নয়, বরং সোশ্যাল অ্যাকটিভিজমকেই ভবিষ্যতে বেছে নিতে চান তিনি।
শবনম ফারিয়ার ভাষায়, ‘ভবিষ্যতে নিজেকে একজন সোশ্যাল অ্যাকটিভিস্ট হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমি একজন শিল্পী, সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনের অংশ হতে চাই। রাজনীতি আমার মঞ্চ নয়। ভালোকে ভালো, খারাপকে খারাপ, চোরকে চোর আর চাঁদাবাজকে চাঁদাবাজ বলাই আমার নীতি।’
ব্যক্তিগত জীবনে কঠিন সময় পার করা প্রসঙ্গেও খোলামেলা ছিলেন তিনি। বললেন, ‘অপ্রয়োজনীয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসার ইচ্ছে আমার কখনোই ছিল না। তা না হলে অভিনয়ের পাশাপাশি চাকরি না করে টিকটকে নাচতাম, জিম করতাম, কিংবা মিরর সেলফি দিতাম। এই দেশে অ্যাটেনশনের জন্য খুব বেশি কষ্ট করতে হয় না, আমিও জানি, আপনারাও জানেন।’
রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি দূর করতেও দৃঢ় ভাষায় বক্তব্য রাখেন ফারিয়া। তার স্পষ্ট ঘোষণা— ‘বর্তমানে বাংলাদেশে যেসব রাজনৈতিক দল আছে বা সম্প্রতি নিষিদ্ধ হয়েছে, তাদের কারোর সঙ্গেই আমার কোনো সমর্থন নেই। আমার ফেসবুক পেজ পাবলিক। সেখানে যেমন কালা মাগুর কমেন্ট করতে পারে, তেমনি নীল তিমি, কাউয়া কিংবা টিয়াও পারে। এতে আমার রাজনৈতিক আদর্শ প্রতিফলিত হয় না। আমি কোনো রাজনৈতিক চরিত্র নই।’
অভিনয়ে অনিয়মিত হলেও নিজের অবস্থান, চিন্তাভাবনা আর খোলামেলা বক্তব্যের জন্যই শবনম ফারিয়া আলোচনায় থাকেন প্রায়ই। রাজনীতির বাইরে থেকেও তিনি বিশ্বাস করেন, সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব। আর সেই পরিবর্তনের লড়াইয়েই সক্রিয় থাকতে চান তিনি।