প্যারিস অলিম্পিকে খেলতে হলে আর্জেন্টিনার সামনে জয় ছাড়া আর কোনো সমীকরণ নেই। এমন পরিস্থিতিতে শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ চির প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল। নিজেদের এমন পরিস্থিতির জন্য অবশ্য আলবিসেলেস্তে যুবারা নিজেরাই দায়ী। শেষ ম্যাচে ব্রাজিলকে না হারাতে পারলে মেসি-ডি মারিয়ার অলিম্পিকে খেলার স্বপ্নটা অধরাই থেকে যাবে। কেননা হারলে কিংবা ড্র করলেই যে বিদায় নিশ্চিত হবে তাদের।
আগামী রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) এস্তাদিও ন্যাসিওনাল স্টেডিয়ামে ছোটদের সুপার ক্লাসিকোয় মুখোমুখি হবে তারা। একই দিনে মাঠে নামবে প্যারাগুয়ে ও ভেনেজুয়েলা।
অথচ দাপটের সঙ্গে গ্রুপ পর্ব শেষ করে বাছাইপর্বের চূড়ান্ত রাউন্ড নিশ্চিত করেছিল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। কিন্তু ব্রাজিল প্রথম ম্যাচে প্যারাগুয়ের কাছে হেরে গেলে পাল্টে যায় সব হিসাব-নিকাশ। কেননা আর্জেন্টিনা না হারলেও ড্র নিয়ে মাঠে ছেড়েছে দুটি ম্যাচেই।
প্যারিস অলিম্পিক কমিটি ধারণা করেছিল লাতিন আমেরিকার দুই পরাশক্তি ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা টুর্নামেন্টে অংশ নেবে। কিন্তু এখনকার পরিস্থিতিতে যে কোনো একটি দলই সেখানে যেতে পারবে। হিসাবটা সহজ, দুদলের মুখোমুখি লড়াইয়ে যে জিতবে তারাই টিকিট কাটবে প্যারিসে যাওয়া প্লেনের।
বাছাইপর্বের চূড়ান্ত রাউন্ডে খেলা চার দলের মধ্যে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে প্যারাগুয়ে। এক পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে ব্রাজিল, ২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আর্জেন্টিনা। ১ পয়েন্ট নিয়ে চারে ভেনিজুয়েলা। এখান থেকে মূলপর্বে যাবে কেবল দুই দল। সব দলেরই বাকি আছে একটি করে ম্যাচ।
প্যারাগুয়ে তাদের শেষ ম্যাচে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ড্র করলেই চলে যাবে চূড়ান্ত পর্বে। হারলেও তাদের চূড়ান্ত পর্বে ওঠার সুযোগ আছে। কেননা সুপার ক্লাসিকোয় যে দল জিতবে তখন তারা প্যারিসের টিকিট কাটবে শীর্ষ দল হিসেবে। আবার হিসাব করলে দেখা যায় ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার মধ্যে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে সেলেসাওরা। ভেনিজুয়েলার বিপক্ষে প্যারাগুয়ে যদি ড্র করে বা জিতে, সেক্ষেত্রে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ড্র করলেই মূল পর্বে উঠবে সেলেসাওরা। তবে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই আলবিসেলেস্তে যুবাদের। অলিম্পিকে জায়গা পেতে সেলেসাও যুবাদের বিপক্ষে জিততেই হবে মাসচেরানোর শিষ্যদের।
উল্লেখ্য, অলিম্পিক বাছাইয়ের মূল পর্বের প্রথম ম্যাচে প্যারাগুয়ের কাছে ১-০ গোলে পরাজয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ভেনিজুয়েলার বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পায় ব্রাজিল। অন্যদিকে আর্জেন্টিনা ড্র করেছে নিজেদের দুই ম্যাচেই। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা মহারণেই নির্ধারিত হবে এই দুই দলের অলিম্পিক ভাগ্য।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল ভারতকে ৫৯ রানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার এশিয়া কাপ জিতেছে। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হারার পর টানা জিতে চলেছিল ভারত। তবে বড় প্রতিপক্ষ হিসেবে হাজির হলেও বাংলাদেশ তার শক্তিশালী ব্যাটিং ও বোলিংয়ের মাধ্যমে ভারতের দাপটকে ভেঙে দিয়েছে। ফাইনালে বাংলাদেশ ১৯৮ রান তুলে ভারতকে ১৩৯ রানে গুটিয়ে দেয়।
বাংলাদেশের ইনিংসে শিহাব জেমস (৪০) ও রিজান হোসেন (৪৭)-এর গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস ছিল। উইকেটকিপার ফরিদ হাসানও ৩৯ রান করে দলের স্কোর বাড়াতে সহায়তা করেন। বাংলাদেশ দলের পেসাররা, বিশেষ করে ইকবাল হোসেন ইমন (১৩ উইকেট) ও আল ফাহাদ (১২ উইকেট), পুরো টুর্নামেন্টে দাপট দেখিয়েছেন। ফাইনালে ইমন তিনটি উইকেট নিয়ে ভারতের ব্যাটিংয়ের ভিত গুঁড়িয়ে দেন।
ভারতের পক্ষে কোনো ব্যাটসম্যান ৩০ রান পেরোতে পারেননি। ১৩৯ রানেই ভারত শেষ হয়ে যায়।
এশিয়া কাপের ইতিহাসে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় শিরোপা। গত বছর বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতেছিল।
জাঁকজকমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইয়ং টাইগার্স অনূর্দ্ধ-১৮ জাতীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট-২৪-২৫ (বিভাগীয় পর্যায়) উদ্বোধন করা হয়। রোববার শহীদ মোহাম্মদ আলী স্টেডিয়ামে বেলুন উড়িয়ে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন, জেলা ক্রিকেট কোচ রোকনুজ্জামান রাহাত প্রমুখ।
উদ্বোধনী খেলায় পঞ্চগড় জেলা টিম জয়লাভ করে। ৫০ ওভারের খেলায় টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পঞ্চগড় টিম। ব্যাটিংয়ে লালমনিরহাট টিম ২০ ওভার ৩ বল খেলে ১০ উইকেটে ৫২ রান করে। জবাবে পঞ্চগড় জেলা টিম ১৭ ওভার ২ বল খেলেই ৩ উইকেটেই জয় নিশ্চিত করে ৭ উইকেটে জয়লাভ করে।
উল্লেখ্য, টুর্নামেন্টটি বিভাগীয় ২টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁও ভেন্যুতে মোট ৪টি টিম অংশগ্রহণ করছে। টিমগুলো হলো পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, দিনাজপুর ও নীলফামারী টিম। অপরদিকে লালমনিরহাট ভেন্যুতে ঠাকুরগাঁও, রংপুর, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম টিম অংশগ্রহণ করছে।